বাংলাদেশকে ৪১৩ রানের টার্গেট দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা
জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৪১৩ রানের টার্গেট দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশকে ফলোঅন ফেলার পরও আবার ব্যাটিংয়ে না পাঠিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ৪১২ রানে এগিয়ে থাকে। ১২ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ পড়েছে মহারাজের ছোবলে। শুরুতেই হারিয়েছে মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট। কোনো রানই তিনি করতে পারেননি। বল খেলেন তিনটি।
প্রথম ইনিংসেও তিনি শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। এরপর ৭ রানে শান্তকে ফেলেন এলবিব্লিউর ফাঁদে। তামিম ইকবাল ও মুমিনুল উইকেট পতনের চেষ্টা করে দিন পার কারর চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশকে ২১৭ রানে অলআউট করে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে থাকে ২৩৬ রানে। বাংলাদেশ পড়েছিল ফলোঅনে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশকে ফলোঅনে না করিয়ে নিজেরাই ব্যাটিং করতে নেমে দ্রুত রানর তুলতে থাকে। সেই সঙ্গে পড়তে থাকে উইকেটও। মূলত উইকেট প্রাপ্তিতে এগিয়ে থাকেন দুই স্পিনার তাইজুল ও মিরাজ। দুই জনে নেন ৫টি। তাইজুল ৩টি, মিরাজ ২টি। অপর উইকেটটি ছিল পেসার খালেদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী জুটিতে এলগার ও এরইউ ৬০ রান এনে দেন। এরপর তাইজুল আঘাত হেনে আগের তিন ইনিংসে ফিফটি হাঁকানো এরগারকে বোল্ড করেন ২৬ রানে। কিগার পিটারসেনও বেশি সময় টিকতে পারেননি তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁড়ে পড়ে। এরপর আঘাতদ হানেন খালেদ ওপেনার এরউইকে ৪১ রানে আউট করে। তখন স্বাগতিকদের রান ছিল ৩ উইকেটে ৯০।
রিকেলটনও এসে বেশি সময় টিকতে পারেননি। ১৮ রানে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে আবারও আঘাত হানেন তাইজুল। এরপর দুই উইকেট নেন মিরাজ। ৩০ রানে বাভুমাকে ফেলেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। মুল্ডারকে ৬ রানে বোল্ড করার সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়ক এলগার ইনিংস ঘোষণা করেন ১৭৬ রানে। তখন ৩০ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত ভেরেইনা। তাইজুল ৬৭ রানে ৩টি, মিরাজ ৩৪ রানে ২টি ও খালেদ ৩৬ রানে নেন ১ উইকেট।
এমপি/এমএমএ/