সাকিবকে পেছনে ফেলে তাইজুল সবার আগে
উইকেট পড়তে ভুল করায় ডারবানে প্রথম টেস্ট খেলা হয়নি বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের। যে কারণে বাংলাদেশ পেসার নিয়ে খেলেছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেটে স্পিন ধরতে থাকে আর ফুটে উঠতে থাকে বাংলাদেশের একাদশে একজন স্পিনারের ঘাটতি। সেই স্পিনারটি ছিলেন তাইজুল। যে উইকেটে হার্মার-মহারাজ ছড়ি ঘুরিয়েছেন, সেই উইকেটে তাইজুল খেললে আরও বেশিই বল ঘুরাতে পারতেন। হয়তো সেই টেস্টেই তার হয়ে যেত দেড়শ উইকেট। কিন্তু না খেলাতে তার আর হয়নি। সেটিই হয়েছে পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে। দেড়শ থেকে ৬ উইকেট কম নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন তাইজুর। একেবারে পাক্কা ৬ উইকেটই নেন তিনি ১৩৫ রানে। দেশের বাইরে এটিই তার সেরা বোলিং আগের সেরা বোলিং ছিল গতবছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে ৭৩ রানে ৫ উইকেট। এবার ৬ উইকেট তিনি হয়ে গেছেন বাংলাদেশের দ্রুততম দেড়শ উইকেট শিকারি বোলার। ৩৬ টেস্টে খেলে তাইজুল এই কীর্তিটুকু গড়েন। আর এই কীর্তি গড়তে গিয়ে তিনি পেছনে ফেলে দিয়েছেন নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। সাকিব এই অর্জনের মালিক ছিলেন ৪৩ ম্যাচ খেলে।
কন্ডিশনের কারণে একাদশ মেলাতে গিয়ে অনেক সময় তাইজুলকে বলির পাঠা হতে হয়। এবার যেমন হয়েছেন ডারবানে। এ রকম অনেক নজির আছে। কিন্তু যখনই সুযোগ পান, তিনি নিজেকে মেলে ধরেন আপন মহিমায়। পোর্ট এলিজাবেথের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও তিনি ৬উইকেট নেয়ার নজির গড়েছেন। যা তার ক্যারিয়ারে ইনিংসে দশমবার কীর্তি। ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে তার উপরে আছেন ১৮বার নিয়ে সাকিব। মোট উইকেট শিকারির তালিকায়ও তাইজুলের উপরে সাকিব। তার উইকেট সংখ্যা ২১৫টি। তাইজুলের পরে আছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার শিকার ১২৬টি।
তাইজুলের অভিষেক হয়েছিল ২০১৪ সালে উইন্ডিজরে বিপক্ষে কিংস্টনে। অভিষেকেই তিনি শিকার করেছিলেন ৫ উইকেট। এখন পর্যন্ত ৩৬ টেস্টের ৬১ ইনিংসে বোলিং করে তিনি ১৫০ উইকেট নিয়েছেন। তার বোলিং গড় ৩২.২১ ।
এমপি/এএস