বাংলাদেশের রেকর্ড এখন পাকিস্তানের
ছবি : সংগৃহীত
শিরোনাম দেখে যে কেউ চমকে উঠবেন! কী এমন রেকর্ড, যা এতোদিন বাংলাদেশের ছিল। এখন তা পাকিস্তানের হয়ে গেছে? এর কারণও আছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের যারা ন্যূনতম খোঁজ খবর রাখেন, তারা জানেন যে ছোট ফরম্যাটের এই সংস্করণে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই কাহিল। যার সর্বশেষ নজির লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা রেখে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এই ক্ষতে এতোই গভীরতা ছিল, যা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার আনাচে-কানাচে। এখনো শুকায়নি তা। বলা যায় সময় যত বাড়ছে এর ক্ষতের গভীরতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অপরদিকে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আছে দুর্দান্ত ফর্মে। এই সংস্করণে একবারের বিশ্ব সেরাও তারা। এমন একটি দল যেকোনো রেকর্ড করতেই পারে। এমন কি বাংলাদেশের করা রেকর্ড নিজেদেরও করে নিতে পারে। কিন্তু ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশ দলের রেকর্ড কী ছিল? সেই রেকর্ড ছিল এ বছর সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার। চলতি বছর বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে ২৭টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই পাকিস্তান টপকে যায় বাংলাদেশকে।
ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে পাকিস্তান যে বাংলাদেশকে টপকে যাবে তা অনুমিতই ছিল। কারণ পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের সিরিজের পর এ বছর আর কোনো ম্যাচ নেই বাংলাদেশের। ২৭ ম্যাচেই বছরের ইতি ঘটবে। সেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শেষে পাকিস্তানের ম্যাচ খেলার সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬-এ। বছর শেষ হওয়ার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আছে আরও তিন ম্যাচের সিরিজ। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশকে ছুঁয়ে ফেলবে পাকিস্তান। সেটি তারা করেছিল ১৩ ডিসেম্বর সোমবার করাচিতে। একই মাঠে পরের দিন মঙ্গলবার খেলতে নেমে টপকে যায় বাংলাদেশকে। আগামীকাল করাচিতেই শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে সে সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নেবে।
বাংলাদেশ তাদের ২৭ ম্যাচের ২১টিই খেলেছে আগস্ট থেকে নভেম্বরের মাঝে। এ সময় তারা ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫টি করে, বিশ্বকাপের প্রাথমিক রাউন্ডে ৩টি, মূল পর্বে ৫টি এবং ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩টি ম্যাচ খেলে। বাকি ৬ ম্যাচের তিনটি ছিল জিম্বাবুয়ে ও তিনটি ছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে।
এমপি/টিটি/