টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তানের
ছবি : সংগৃহীত
প্রথম ম্যাচে যতটা সহজে হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিরিজ বাঁচানো দ্বিতীয় ম্যাচে ততোটাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। শেষ পর্যন্ত পারেনি। হেরেছে ৯ রানে। পাকিস্তানের ৮ উইকেটে ১৭২ রানের জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৬৩ রানে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছিল ৬৩ রানে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান নিজেদের করে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) করাচিতে।
অসম্ভবকে সম্ভব করার মিশনে নেমেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমারিও শেফার্ড। শেষ চার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৬ রানের। এ সময় শেফার্ডের রান ছিল ২। হাতে উইকেট মাত্র ৫টি। কিন্তু শাহীন শাহ আফ্রিদী ইনিংসের ১৬ নম্বর ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। শেষ তিন ওভারে হাতে ২ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ৪২ রান। শেফার্ড ৫ রানে অপরাজিত। মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা ইনিংসের পরের ওভারে শেফার্ড ১১ রান তুলে নেন। আগের ওভারের শেষ ২ বলে উইকেট পাওয়াতে শাহীন শাহ আফ্রিদীর হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তার প্রয়োজন ছিল পরের ওভারের প্রথম বলেই উইকেট নেওয়া। কিন্তু তিনি তা পারেননি। ব্যাটসম্যান ছিলেন শেফার্ড। প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান। ওভারে রান আসে ৮। এই ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আকিল হোসেন রান আউট হন। ফলে শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ২৩ রানের। অনেক কঠিন। আবার অসম্ভবও নয়। শেষ ওভারে এর চেয়ে বেশি রান নেওয়ার ঘটনাও আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হারিস রউফের করা প্রথম বলেই জীবন পেয়ে ২ রান নেন শেফার্ড। পরের বলে হাঁকান ছক্কা। তৃতীয় বলে কোনো রান নিতে না পারলেও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মারেন। ফলে শেষ ২ বলে প্রয়োজন পড়ে ১১ রানের। দুইটি ছক্কার প্রয়োজন। সেই টার্গেট আর ছোঁয়া হয়নি। পঞ্চম বলে ১ রান নেওয়ার পর শেষ বলে থমাস আউট হয়ে গেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৬৩ রানে। শেফার্ড ২টি করে চার ও ছক্কা মেরে মাত্র ১৯ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শুরুতে একমাত্র ওপেনার ব্রান্ডন কিং ছাড়া আর কেউ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। কিং ৪৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৭ রান করে আউট হন হারিস রউফের বলে। পাকিস্তানের পক্ষে শাহীন শাহ আফ্রিদী ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসীম ও হারিস রউফ।
এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানও ভালো সূচনা করতে পারেনি। কোনো ব্যাটসম্যানই খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। এমনকি গোটা ইনিংসে নেই কোনো ফিফটি। দলপতি বাবর আজম (৭) আবারও ব্যর্থ হন। পারেননি ফখর জামানও। এই দুই ব্যাটসম্যান প্রথম ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচে ৭৮ রানের ইনিংস খেলা মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হয়ে যান ৩৮ রানে। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা হায়দার আলী এই ম্যাচে আর পারেননি ঝড় তুলতে। ৩৪ বলে ৩১ রান করে তিনি ফিরে যান। ঝড় তুলা আরেক ব্যাটসম্যান নেওয়াজও ব্যর্থ হন ১ রানে আউট হয়ে।
তারপরও পাকিস্তান অলআউট না হয়ে ১৭২ পর্যন্ত যেতে পেরেছিল ইফতেখার আহমেদের ১৯ বলে ৩২ ও ম্যাচ সেরা সাদাব খানের ১২ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে অপরাজিত ২৮ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজরে স্মিথ নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন আকিল হোসেন, থমাস, শেফার্ড ও ওয়ালস।
এমপি/টিটি/