নাসুম-মেহেদীতে কুপোকাত দক্ষিণাঞ্চল
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের প্রথম দিনের দুইটি ম্যাচেই ছিল বোলারদের দাপট। চট্টগ্রামে বিসিবি উত্তরাঞ্চল ও ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের ম্যাচে যেমন ছিল বোলারদের দাপট; তেমনি রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের খেলাও ছিল বোলারদের দাপট।
এ খেলায় প্রভাব বিস্তার করেছে পূর্বাঞ্চলের বোলাররা। নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান, দুই জনেই পাঁচটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল ২৬০ রানে অলআউট হয়ে যায়। ব্যাট করতে নেমে পূর্বাঞ্চল বিনা উইকেটে করেছে ৩ রান।
রাজশাহী কামরুজ্জান স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণাঞ্চলের ইনিংসে এভাবে ২৬০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার মতো ছিল না। ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ আশরাফুলের হাত ধরে ছিল বড় ইনিংস গড়ার ইঙ্গিত। উদ্বোধনী জুটিতে যদি ১০১ রান আসে, সেখানে বড় ইনিংস আশা করাই যায়। কিন্তু এই জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর হুড়মুড় করে ভেঙ্গ পড়ে ইনিংস। আর এই কাজটি করতে ঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ন হন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান।
আঘাত প্রথম করেন নাসুম আহমেদ। তিনি ব্যক্তিগত ৪৬ রানে ফিরিয়ে দেন ইমরুল কায়েসকে। তার দেখাদেখি মেহেদী হাসানও উইকেট পাওয়া শুরু করেন। তিনি ফিরিয় দেন উইকেটে মাত্রই আসা রনি তালুকদারকে( ১৯)। এরপর তিনি ফিরিয়ে দেন একসময়ের একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে। স্পিনারদের ঘুর্ণি বলের মাঝেও তিনি বুক চিতিয়ে করেন ৬১ রান। তার ১২০ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চারের মার। আফিফ হোসেন ধ্রুবকেও ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান।
উইকেট পাওয়াতে তিনি নাসুমকে পেছনে ফেলে দিলে নাসুমও বসে থাকেননি। তিনিও শাহদাত ও নাদিফ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিয়ে মেহেদীর পাশে দাঁড়ান। এমনকি পরে ইরফান ও নাঈমকে আউট করে পাঁচ উইকেটও নিয়ে নেন। তার কারণেই দক্ষিণাঞ্চলের মিডল অর্ডার তছনছ হয়ে যায়। ১৯ রানে হারায় ৫ উইকেট। এই ৫ উইকেটর চারটিই ছিল নাসুমের। মেহেদী শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে তিনিও ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। মেহেদী ৩৭.২ ওভারে ৮১ ও নাসুম ২৫ ওভারে ৯৬ রান দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল: ২৬০/১০, ওভার ৮৬.২ (আশরাফুল ৬১, ইমরুল ৪৬, শাহাদাত ৩০, রেজাউর ৩০, রনি ১৯, মেহেদি হাসান ৫/৮১, নাসুম ৫/৯৬,
বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল: ৩/০ ওভার ২ ( (এনামুল ০*, পিনাক ০*; )
এমপি/এমএমএ/