অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের সাফ ফুটবল
ভালো খেলেও জয় বঞ্চিত বাংলাদেশের মেয়েরা
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রাটা শুভ হলো না স্বাগতিক বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ নেপালের বিপক্ষে বলা যায় কপালই ছিল মন্দ। একতরফা প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেও গোলের দেখা পায়নি। গোল পোষ্ট লেগে বল ফিরে এসেছে। আবার গোলে ঢুকার মুহুর্তে সেখান থেকে বল ফিরিয়ে দিয়েছেন নেপালের খেলোয়াড়রা। ফলে আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশুন্য ড্র করে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশের মেয়েরা।
এবারের আসর হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯। আগের আসর ছিল অনুর্ধ্ব-১৮। সেই আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে সেই আসরের ফাইনালে নেপালকে হারিয়েছিল তারা।
এর আগে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে যাত্রা শুরু করেছে ভুটান। বাংলাদেশ পরের ম্যাচ ১৩ ডিসেম্বর খেলবে ভুটানের বিপক্ষে। নেপালের পরের ম্যাচ ১৫ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তবে শ্রীলঙ্কার সেটি হবে তৃতীয় ম্যাচ। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর তারা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ভারতের বিপক্ষে।
নেপালের বিপক্ষে শুরুতেই বাংলাদেশ যেমন গোল বঞ্চিত হয়েছে তেমনি আবার রক্ষাও পেয়েছে। তবে রক্ষা পাওয়াটা ছিল আত্মঘাতী গোল হজম না করা। খেলার দ্বিতীয় মিনিটের সময় বক্সের বাইরে থেকে আঁখি খাতুনের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৫ মিনিটের মাথায় নেপালের বিমলার ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে শামসুন্নাহারের হেডে নিজেদের জালে বল জড়াতে গিয়েছিল। গোল কিপার রুপনা চাকমা কোনো রকমে রক্ষা করেন। গোটা ম্যাচে এই একবারই বাংলাদেশ বিপদে পড়েছিল। বাকি সবটা জুড়েই ছিল বাংলাদেশের আক্রমণ আর আক্রমণ।
প্রথমার্ধে যেমন একের পর আক্রমণে সফলতার মুখ দেখেনি তেমনি দ্বিতীয়ার্ধেও। ফলে ড্র করে হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।
উদ্বোধনী ম্যাচে ভুটান প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ভুটানের পক্ষে পেমা ইয়াঙ্গম দুটি এবং শেরিং ও সোনাম লামো একটি করে গোল করেন। অপর গোলটি ছিল আত্মঘাতী।
এমপি/এসআইএইচ/