সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বসুন্ধরার মালিককে নিজ হাতে কেক খাইয়ে তোপের মুখে শফিক রেহমান

বসুন্ধরার মালিককে কেক খাইয়ে তোপের মুখে শফিক রেহমান। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক ‘কালের কণ্ঠে’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গ্রুপটির চেয়ারম্যান আকবর সোবহানকে নিজ হাতে তুলে কেক খাইয়ে দেন দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান। এমন এতটি ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

তার এই অবাক কাণ্ড নিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।‌ গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন তার দীর্ঘদিনের ভক্ত-শুভাকাঙ্খীরাও।

এসময় বিগত সরকারের নেপথ্য কারিগর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ভূয়সি প্রশংসা করতেও দেখা যায় লাল গোলাপ খ্যাত এই প্রবীণ সাংবাদিককে। আকবর সোহানকে অমায়িক ও অসাধারণ মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি বিপ্লবের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ৯০ ঊর্ধ্ব শফিক রেহমানের এমন অধঃপতনে বিস্মিত নেটিজেনরা বলছেন, ‘মুরুব্বী মুরুব্বী কামডা করল কি?’ প্রথম দেখায় তার এমন কাণ্ড সত্য বলে বিশ্বাসই করতে পারেননি অনেকে।

সমালোচনা করে নেটিজেনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ছাত্র-জনতার গণহত্যায় যেসব ফ্যাসিস্ট সাংবাদিক ভূমিকা রেখেছে দুঃখজনকভাবে শফিক রেহমান তাদেরকে সাথে নিয়ে চলছেন। হাসিনার দোসর বসুন্ধরা গ্রুপের মালিককে নিজ হাতে শুধু কেক খাইয়ে দেন নাই তিনি তার ভূয়সি প্রশংসাও করেছেন। তার এমন আচরণ শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মার সাথে চরম বেইমানি।

সাংবাদিক নাজমুস সাকিব এই ঘটনায় ‘ভূমিদস্যু বসুন্ধরার শাহ আলমের কাছে নিজেকে বিক্রি করলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।

প্রতিবেদনে তিনি বলেন, কৈশোরে বিটিভিতে জনপ্রিয় আট শো অনুষ্ঠান ‘লাল গোলাপ’ শুরু হওয়া মাত্র আমরা টিভি স্ক্রিনের সামনে সকল কাজ ফেলে ছুটে যেতাম। আমার মত একজন তরুণ সাংবাদিক বা অনলাইন অ্যাক্টিভেস্ট এর কাছে ৯১ বছর বয়সী শফিক রেহমান একজন জীবন্ত কিংবদন্তি এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। এ কারণেই বছরখানেক আগে আমি যখন লন্ডন সফর করেছিলাম আমি বহু কষ্টে তার ঠিকানা জোগাড় করে তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তার সাথে ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্বৈরশাসনের নানা দিক এবং যে প্রক্রিয়াতে তার যায়যায়দিন পত্রিকাটি ভূমিদস্যু বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় দখল করা হয়েছিল এসব বিষয়ে বেশ খোলামেলা আলোচনা হয়েছিল। তার কাছ থেকেই জানতে পেরেছিলাম যায়যায়দিন কিভাবে হাতছাড়া হয়েছিল এবং কুখ্যাত ভূমিদস্য গ্রুপ বসুন্ধরা সেক্ষেত্রে কি ধরনের ন্যাক্কারজনক ভূমিকা রেখেছিল।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট এর পটপরিবর্তনের পর তিনি যায়যায়দিন ফেরত পাবেন, নতুন ভাবে এর যাত্রা শুরু করবেন এটাই হল বাস্তবতা। কিন্তু আমরা কল্পনাও করিনি কুখ্যাত ভূমিদস্য এবং পতিত স্বৈরাচার হাসিনার অন্যতম দোসর ভূমিদস্য আহমদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে যায়যায়দিনের এই নবযাত্রা করবেন। পত্রিকাটির এই নতুন যাত্রায় তার সাথে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে আছেন তিনি মহা বাটপার শামসুল আলম লিটন। আমরা জানতে পেরেছি এই শামসুল আলম লিটনই ভূমিদস্য আহমদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমের সাথে শফিক রেহমানের লিয়াজু করে দিয়েছেন। তবে আমি এটাকে ব্যক্তিগতভাবে একমাত্র কারণ বলে মনে করি না। কারণ তিনি তো কোন অবুঝ শিশু নয়। আপনি জানেন যে, শাহ আলম হাসিনার অন্যতম দোসর। সে হাসিনাকে আজীবন ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছিল এবং প্রকাশ্যে সে বলেছিল, মৃত্যুর আগেও শেখ হাসিনার সাথে আছে এবং মৃত্যুর পরেও হাসিনার সাথেই থাকতে চাই।

সমালোচনা করে নাজমুস সাকিব আরো বলেন, আজ নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে শফিক রেহমানের মতো একজন মানুষ নিজেকে নর্দমার কিটে পরিণত করলেন। তিনি আজ বসুন্ধরার মালিকানাধীন কালের কন্ঠের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে গিয়ে নিজ হাতে এই ভূমিদস্যু শাহ আলমের মুখে কেক তুলে খাইয়ে দিয়েছেন। তিনি এই অনুষ্ঠানে যেভাবে শাহ আলমের প্রশংসা করেছেন সেটা শুনে আমি আমার নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারিনি। সাংবাদিকতা জগতের আইডল এই শফিক রেহমানের অধঃপতনে আমরা বিস্মিত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ-উর রহমান সমালোচনা করে বলেছেন, ‘টাকাটাই শেষ কথা বাকি সব বাতুলতা’। টাকা কথা রাখে, সারা পৃথিবীতেই টাকা কথা রাখে। কিন্তু আমাদের সমাজে একটু বেশি রাখে। পৃথিবীতে সবকিছুই টাকা চাইলে কিনতে পারে না। সারা পৃথিবীতে বাস্তবে সে অবস্থা বিরাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশে শফিক রেহমান ৯০ বছর বয়সে বিক্রি হয়ে যান।বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করে গেছেন সেই শফিক রেহমান কালের কণ্ঠে গেলেন এবং ভুইসী প্রশংসা করলেন।

আলোচিত প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের কড়া সমালোচনা করে ফেসবুক আইডিতে দেখেছেন, নিজ ইনসটিংক্টের প্রতি আমার সব সময়ই আস্থা ছিলো, থাকবে। সে কারণে, পরিচিত অনেকেরই শফিক রেহমানের প্রতি ব্যাপক সম্মান থাকলেও আমি কখনোই এই লোককে সিরিয়াসলি রিগার্ড করিনি। প্রতি সন্ধ্যায় গলা দিয়ে বাধ্যতামূলক এক-দুই গ্লাস লাল পানি পড়লেই যিনি খিস্তি আওড়ান, এমন লোককে বিশেষ কিছু ভাবা, অন্তত আমার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা, হবেও না।

 

Header Ad
Header Ad

অধ্যাপক কামরুল ১৮০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক ছুঁলেন

বিশিষ্ট কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বিশিষ্ট কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম এককভাবে ১,৮০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। রাজধানীর শ্যামলীর সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) হাসপাতালে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

অধ্যাপক কামরুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠিত সিকেডি হাসপাতালে রোগীদের থেকে কোনো ফি নেন না। তিনি বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করেন, যা তিনি মানুষের প্রতি তার দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করেন। তার মতে, আল্লাহ তাকে এই জ্ঞান দিয়েছেন এবং তিনি তা মানুষের সেবায় কাজে লাগাচ্ছেন।

২০২৩ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি ১,৩০০ কিডনি প্রতিস্থাপন করেছিলেন। এরপর ২০২৩ সালের ১০ আগস্টে এটি ১,৪০০-তে পৌঁছায় এবং ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ১,৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক স্পর্শ করেন। প্রথম এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনে ১৪ বছর সময় লেগেছিল, কিন্তু পরবর্তী ২৬ মাসে তিনি সফলতার সঙ্গে আরও ৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপন করেন।

অধ্যাপক কামরুল ইসলামের সাফল্যের হার প্রায় ৯৫ শতাংশ। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থী অধ্যাপক কামরুল ইসলাম ১৯৯৩ সালে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১১ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি সিকেডি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। চিকিৎসাবিদ্যায় তার অসাধারণ অবদানের জন্য ২০২২ সালে তাকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সাবেক মন্ত্রী তাজুলের পরিত্যক্ত বাড়িতে তরুণীকে গণধর্ষণ: গ্রেপ্তার ৫ জন আদালতে

সাবেক মন্ত্রী তাজুলের পরিত্যক্ত বাড়িতে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জনকে আদালতে নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার লাকসামে স্বামীকে জোরপূর্বক সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে ফেলে দিয়ে তার স্ত্রীকে দুই দফায় দলবব্ধ ধর্ষণে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদেরকে কুমিল্লা জেলা আদালতে আনা হয়।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় জড়িত সকলকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এদের মধ্যে একজন নারী আছেন, যার বাসায় ওই গৃহবধূকে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করা হয়।

এদিকে লাকসামে আবারও আলোচনায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের বাড়িটি। যা ওই এলাকায় মন্ত্রী বাড়ি নামেই পরিচিত। গত বছরের ৫ আগষ্ট সরকার পতনের দিন লাকসাম পৌর এলাকার ওই বাড়িটিতে ব্যাপক ভা‌ঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরিত্যাক্ত ওই বাড়িতেই প্রথম দফায় দলবব্ধ ধর্ষণের শিকার হন গৃহবধূ।

ওই দম্পতির বরাতে পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) গৃহবধূ তার স্বামীকে নিয়ে নানা শ্বশুরবাড়ি লাকসামে আসেন। পরদিন ভোরে তারা লাকসাম বাইপাস মোড় থেকে বাড়ি ফেরার জন্য সিএনজিতে ওঠেন। এসময় সিএনজিচালক মো. মাসুদ তাদের কাছে জানতে চান তার স্বামী-স্ত্রী কিনা এবং এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। একপর্যায়ে তিনি তাদের লাকসামের গন্ডামারা এলাকায় নিয়ে যান। এসময় অভিযুক্তরা তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে। পরে পরিকল্পিতভাবে তাদের পাশের লালমাই উপজেলার মগবাড়ি এলাকায় নিয়ে স্বামীকে ফেলে রেখে তার স্ত্রীকে অপহরণ করে লাকসামে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, পরে ভুক্তভোগীকে লাকসামের পাইকপাড়া এলাকায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলীর একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত মো. মাসুদ ও মোহাম্মদ আলী তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিমকে লাকসাম পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় আসামিদের পরিচিত বিলকিছ আক্তার কল্পনার ভাড়া বাসায় নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই গৃহবধূ উদ্ধার হন। এ ঘটনায় রোববার লাকসাম থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারীর মা।

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার দিনভর ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন, লাকসাম উপজেলার মনোহরপুর এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫), পৌরসভার শ্রীপুর মধ্যপাড়ার মো. মমিনের ছেলে মো. মাসুদ (২৩), বাতাখালী এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মনির হোসেন হৃদয় (২৩), উত্তর বিনই এলাকার মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৩) ও মধ্য লাকসাম এলাকার মৃত মোস্তাফিজ মজুমদারের স্ত্রী বিলকিছ আক্তার কল্পনা (৪০)।

ওসি নাজনীন সুলতানা জানান, অভিযুক্তদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং কেউ কেউ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারেন। ভিকটিমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

চাকরি থেকে ডিআইজি মোল্যা নজরুল ও এসপি মান্নান বরখাস্ত

ডিআইজি মোল্যা নজরুল ও এসপি মান্নান বরখাস্ত। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত (সাবেক জিএমপি কমিশনার) ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম ও সিলেট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ বরখাস্তের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রজ্ঞাপন দুটিতে সই করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার পরিপেক্ষিতে ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সেহেতু, ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার পরিপেক্ষিতে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত (সাবেক সিলেট জেলা পুলিশ সুপার) আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে সিলেট কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সেহেতু, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই দুই কর্মকর্তা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাপ্য হবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকায় সরকারি চাকরি থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ, বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অধ্যাপক কামরুল ১৮০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক ছুঁলেন
সাবেক মন্ত্রী তাজুলের পরিত্যক্ত বাড়িতে তরুণীকে গণধর্ষণ: গ্রেপ্তার ৫ জন আদালতে
চাকরি থেকে ডিআইজি মোল্যা নজরুল ও এসপি মান্নান বরখাস্ত
দাবি পূরণের আশ্বাস, ধর্মঘট প্রত্যাহার করল রেলওয়ের রানিং স্টাফরা
বহু জেল খেটেছি আর খাটতে চাই না: মির্জা আব্বাস
ডিভোর্স হয়নি, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী: সায়রা বানু
সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন গাজী জসীম উদ্দিন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, তদন্তে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি
হামজা এখন বাংলাদেশে  
‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি  
কর্মবিরতি প্রত্যাহার, দেড় ঘণ্টা পর মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু  
মিরপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন  
ফারাজ করিম ও ফারহান করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  
সাড়ে ১১টায় সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন হামজা  
ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের  
কর্মবিরতিতে মেট্রোরেল কর্মীরা, বিনা টিকিটে ভ্রমণ করছে যাত্রীরা
ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়
‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়
যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল
ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়েকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী