স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে আসা পাকিস্তানি তরুণীকে মারধর
পাকিস্তানি তরুণীকে মারধর। ছবি: সংগৃহীত
স্বামীর খোঁজে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আসা পাকিস্তানি তরুণী মাহা বাজোয়া (৩০) মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় চুনারুঘাটের উত্তর বড়াইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পাকিস্তানি ওই নারী।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং মারধরের ঘটনা জরুরিসেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে জানিয়েছেন। মাহা বাজোয়ার স্বামীর নাম সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার (৩৫)। বড়াইল এলাকার শফিউল্লা মজুমদারের ছেলে তিনি।
মাহা বাজোয়া অভিযোগ করেন, সাজ্জাদ তাকে পাকিস্তানে ফেলে রেখে বাংলাদেশে চলে আসেন। তার খোঁজে তিনিও বাংলাদেশের আসেন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সাজ্জাদ তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে চুনারুঘাটের উত্তর বড়াইল এলাকায় বাড়ি ফিরেছেন জেনে সকালে সেখানে যান মাহা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাজ্জাদ ও তার স্বজনেরা তাকে মারধর করেন। মারধরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে মারধরের ঘটনা জানান এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর মামলা দায়েরের জন্য থানায় যান।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লুল রায় জানান, ওই নারীকে মারধরের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হলেও এখনও থানায় কোন লিখিত দেননি। অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর স্বামীর খোঁজে চুনারুঘাটে আসেন মাহা। সেখানে সাজ্জাদের ভাইয়ের বাড়িতে তিনি অবস্থান নেন। পরে গত ১১ ডিসেম্বর তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ আদালতে পৃথক দুটি মামলাও করেন এ নারী। ১২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীন শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত স্বামী সাজ্জাদ হোসেনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির নির্দেশ দেন।
২০১৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে ওই পাকিস্তানি তরুণীকে বিয়ে করেন সাজ্জাদ। এরপর সাজ্জাদ তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং পরে পুনরায় তারা পাকিস্তান চলে যান। পাকিস্তানে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাজ্জাদ তাকে ডিভোর্স দিয়ে ১৭ নভেম্বর দেশে ফেরেন। কিন্তু এই ডিভোর্স না মেনে মাহাও একই দিনে বাংলাদেশে আসেন।