চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচন, উপস্থিতি কম ভোটারদের
ছবি: সংগৃহীত
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ১৩২টি কেন্দ্রে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক দুই বারের এমপি জিয়াউল হক মৃধা। তবে ভোটারদের দাবি লড়াই হবে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কলারছড়ি প্রতীকে।
আসনটিতে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে; আর উপ-নির্বাচন হচ্ছে দ্বিতীয়বারের মতো। তবে প্রায় সবকটি কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি কম। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সরাইলের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম। কিছুক্ষণ পর পর দু-একজন করে ভোটার আসছেন। ফলে কেন্দ্রটিতে ভোট পড়ছে কম। কেন্দ্রটিতে সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮২টি।
সকালে প্রথম এক ঘন্টায় কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটার উপস্থিতি কম। সকালে সোয়া ৯টায় আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া শালুকপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৮৭টি এবং একই সময়ে সোহাগপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ভোট পড়েছে ৮৭টি। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতিও বাড়বে।
এদিকে, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আড়াই হাজার পুলিশ-আনসারের পাশাপাশি রয়েছে ৭ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৮টি দল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন। এরমধ্যে সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬০৫জন ও আশুগঞ্জ উপজেলায় এক ৪৩ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, এই উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। নির্বাচনে ৮০০ পুলিশ ও ১ হাজার ৫৮৪ জন আনসার মোতায়েন করা থাকবেন। এছাড়া বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা মাঠে কাজ করবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানিয়েছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। আমাদের কোন ঘাটতি নেই। তিনি জানান, দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তিনি আরও জানান, তাদেরকে তদারকি করতে ৩ জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক থাকবেন। পাশাপাশি দুইজন বিচার বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করবে। এছাড়া আমি নিজেও মাঠে কাজ করবো।