শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘এরা হাওরের হাঙ্গর, এদের থেকে আমাদের রক্ষা করুন’

হাওরাঞ্চল শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের ইয়ারাবাদ গ্রামের কৃষক মাফিক মিয়া। পিআইসি বাঁধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইউএনও স্যারের সাথে আমার কথা হয়েছিল, এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিলে তিনি আমাকে পিআইসি দেবেন। স্যারের কথামতো নিজের হাতে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি । আমার প্রতিপক্ষ স্যারকে তিন লাখ টাকা অফার করলে স্যার আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে এনে বলেন পিআইসিটা নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি চলছে। আপনারা দুই পক্ষ মিলে যান। আমি অস্বীকৃতি জানালে তিনি বলেন-আমাকে মোট তিন লাখ টাকা দেন। যা হয় হবে, আমি আপনাকে পিআইসি দিয়ে দিব। আমি বললাম স্যার তিন লাখ টাকা দিতে পারব না, আমি আপনাকে দুই লাখ টাকা দিব। তখন তিনি বলেন আমার বুঝার আছে । পরে তিনি তিন লাখ টাকার বিনিময়ে আমার প্রতিপক্ষকে পিআইসি বাধঁটি দিয়ে দেন এবং আমার টাকাগুলোও ফেরত দেন।’

অপর কৃষক সোলেমান মিয়ার দাবি-‘বানের জল যতো না ভয়ংকর, তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর ইউএনও এবং এসও। এরা হাওরের হাঙ্গর। এদের থেকে আমাদের রক্ষা করুন।’

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার পিআইসি বাঁধের দুর্নীতি বিষয়ে একজন ভোক্তভুগী কৃষকের এমন বক্তব্য কখনোই আশাব্যঞ্জক নয়। এই অবস্থায় কৃষকের সোনালী ফসল তলিয়ে যায় অকাল বন্যায়। ফসল তলিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আগামীর স্বপ্নগুলোও ফিকে হয়ে যায় কৃষকদের। উপজেলার রক্ষা কর্তা এবং এসও’র নেতেৃত্বে বারবার এমনটি হচ্ছে-এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় কৃষকদের।

ফসলের মাঠে যখন সোনালী রঙ কৃষকের মুখে তখন আনন্দের ঝিলিক। সেই থেকে আগামীর স্বপ্ন রচনা। ছেলে/মেয়ের বিয়ে, সন্তানের শিক্ষা খরচ/স্কুল ভর্তি, চিকিৎসা, বিদেশ যাত্রাসহ সবকিছু নির্ভর করে এই বোরো ফলনের উপর। ফলে বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল। এখানে বোরো ফসলই কৃষকদের জীবন-জীবিকার একমাত্র প্রধান উৎস। ফলে নিজেদের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে বোরো ফসল উঠার অপেক্ষায় উন্মুখ থাকে কৃষকরা কিন্তু বাঁধ সাধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অকাল বন্যার কবলে তলিয়ে যায় কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অন্যান্য অঞ্চলের মতো প্রতিবারই হানা দেয় হাওরাঞ্চল শাল্লায়। এ জন্য প্রতি বছর ফসল রক্ষায় সহায়ক বাঁধ নির্মাণে আর্থিক বরাদ্ধ আসে যথারীতি। তবে এতে লাভবান হয় দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে দুর্নীতিবাজ কতিপয় মানুষ। কারণ সামান্য বৃষ্টিতেই ভেঙ্গে যায় অপরিকল্পিত বাঁধগুলো। তখন ফের সংস্কারের নামে আরও কিছু বরাদ্ধ লুটেপুটে নেয় দুর্নীতিবাজরা। এতে লাভ হয় না হাড়ভাঙ্গা খাটুনীর কৃষকদের। ফলে উৎবেগ, উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন লাখ লাখ কৃষকরা।

প্রতি বছর শাল্লার হাওরে বাঁধ নির্মাণের নামে টাকা লোপাটের ঘটনা নতুন নয়। একই ঘটনা চলতি বছরেও ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, খোদ উপজেলা ইউএনও আবু তালেবের নেতৃত্বেই ঘটছে এমন লোটপাটের ঘটনা। সাথে যুক্ত আছেন উপজেলা পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী (এসও)আব্দুল কাইয়ুম।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, শাল্লায় মোট ফসল রক্ষা বাঁধের সংখ্যা ১৯৭টি। এর মধ্যে ঝঁকিপূর্ণ বাঁধের সংখ্যা ৫টি। তবে এমন সংবাদ যতটা স্বস্থির ঠিক ততটাই বেদনার। কারণ বাঁধগুলো ভারি বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে ৮০ ভাগ। প্রতিটি বাঁধে প্রকৃত কৃষক রাখার শর্ত থাকলেও স্থান পেয়েছেন অকৃষক এবং দালাল শ্রেণির লোকজনরা। আর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে এসও আব্দুল কাইয়ুম এবং ইউএনও আবু তালেবের সিন্ডিকেটের কারণে। এমন অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের। অভিযোগকারী কৃষকদের দাবি, টাকার বিনিময়ে এমন অপকর্ম করে কৃষকের স্বপ্ন ফিকে করে দিচ্ছেন এসও আব্দুল কাইয়ুম এবং ইউএনও আবু তালেব।

কৃষকদের দাবি, প্রতিটা পিআইসি বাধঁ দেওয়া হয়েছে ঘুষের বিনিময়ে। ফলে বাদ পড়েছেন প্রকৃত কৃষক। এর ফলে শর্ত ভঙ্গ হয়েছে নীতিমালার। অকৃষককে সভাপতি করেই অক্ষত এবং অপ্রয়োজনীয় বাধেঁ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। আবার একই পিআইসির জন্য দুটি পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এতে কোন পক্ষকে পিআইসি দেবে, এটা নিয়ে বিপাকেও পড়েন তারা। সমস্যা সমাধানে অনেক পিআইসির দুইটি পক্ষকে মিলিয়ে একটা করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ঘুষের টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ার ভয়ে রাজি না হওয়ায় তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ১৬৯ নম্বর পিআইসি। এই বাঁধের জন্য দুটি কমিটিকে লিখিত ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে। পিআইসি সভাপতিদের সঙ্গে মৌখিক চুক্তির মাধ্যমে অধিকাংশ বাধেঁ দুই থেকে তিন গুণ টাকা বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটা বাধঁ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে দুই থেকে তিন লাখ টাকা।

এদিকে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে নেওয়া হয়েছে এক অভিনব কৌশল। কয়েক গুণ টাকা বরাদ্দ বেশি দিয়ে তাদেরকে দেওয়া হয়েছে কয়েকটা পিআইসি বাধেঁর কাজ। গত বছর অকাল বন্যায় বাধঁ তলিয়ে যায় এবং পানি কমে যাওয়ায় কিছু ক্লোজার ছাড়া বাধঁগুলো অক্ষত থেকে যায়। এর আগে প্রতিটি বাধেঁ লাখ লাখ টাকার মাটি ফেলা হয়েছে। যার ফলে বাধঁগুলোর অবস্থা মোটামুটি ভাল। তারপরও ওই বাঁধগুলোর জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়। সংশ্লিষ্ট কৃষকসহ অভিজ্ঞরা বলছেন, যেখানে দুই থেকে তিন লাখ টাকার কাজ করলেই বাধঁগুলোর কাজ সমপন্ন করা যেত সেখানে প্রতিটা বাধেঁ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।

বিশিষ্টজনদের অভিমত, প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে ভেসে আসা পলি মাটি এবং পিআইসি বাধেঁর মাটি পড়ে নদীগুলো কাদায় পরিণত হচ্ছে । অদূর ভবিষ্যতে নদী বলতে কিছু থাকবে না। নদীগুলো খনন না করলে পিআইসির বাধঁ দিয়েও ফসল রক্ষা করা যাবে না। সুতরাং ভরাট নদীগুলো খনন করাই এখন ফসল রক্ষার চিরস্থায়ী সমাধান। নদী খননের অপশন পানি উন্নয়ন বোর্ডের থাকলেও নদী খনন না করে অক্ষত বাধঁগুলোতে বরাদ্দের নামে কোটি কোটি দুর্নীতি হয়েছে।

এ বিষয়ে ফয়জল্লাপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার লালচাঁদ মিয়া, চানঁ মিয়া চৌধুরী, মুখন্দ দাস, চেচরণ দাস, নূর মিয়া ও জিয়াউল হকসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ১৪ নম্বর বাধেঁ যে ২৪৮০৩৬৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এটা সম্পূর্ণ দুর্নীতি। এসও সাহেবকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে তারা পিআইসি এনেছে। এখানে ৮৫ মিটার জায়গা লেখা থাকলেও সর্বোচ্চ জায়গা হবে ৫০ মিটার এবং কাজ করা হয়েছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার।

খালিয়াজুরী উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার জগন্নাথ দাস বলেন, খালিয়াজুরীর ১৩টা বাধঁই আমার নিজের চোখে দেখা এবং দুই-তিনটা ভাঙ্গা ছাড়া সব কয়টি বাধঁই অক্ষত, চার আনা কাজই করতে হচ্ছে না। সাধারণ কিছু মাটি দিয়ে শুধু ড্রেসিং আর স্লপ দিচ্ছে। প্রতিটা বাধেঁ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা খরচ হতে পারে বলে জানান তিনি । এ ছাড়াও আরও অসংখ্য বাধঁ রয়েছে, যা দুই থেকে তিন লাখ টাকার কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।

৪৮ নম্বর পিআইসির সদস্য সচিব, মৌরাপুর গ্রামের কৃষ্ণ কান্ত দাস চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা কোথায়? এদেশের মানুষকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে পিআইসি আনতে হয়। পাঁচ বছর যাবত এসও অফিসে যে দুর্নীতি হচ্ছে তা দেখেননি কেন?’

২১ নম্বর পিআইসির সদস্য সচিব মৌরাপুর গ্রামের সুকেশ চন্দ্র দাস বলেন, এসও সাহেবকে দেড় লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে পিআইসি এনেছি।

৩৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি বাহাড়া গ্রামের মেঘলাল দাস বলেন, আমরা অনেক লসে আছি। কারণ দুটি পক্ষকে মিলাইয়া পিআইসি দেওয়া হয়েছে। এতে ঘুষের পরিমাণ অত্যধিক হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

৩৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি হরিনগর গ্রামের স্বনন্দ কুমার দাস বলেন, পিআইসি আনার আগেই অ্যাডভান্স ঘুষ দিতে হয় আর এটা কেউ বলবে না। কারণ আগেই সবাই হলফ করে আসে ঘুষের কথা প্রকাশ না করার জন্য ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হবিবপুর ইউনিয়নের এক পিআইসি সভাপতি বলেন, আমি এসও সাহেবকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছি। ইটনা উপজেলার, ধনপুর ইউনিয়নের এক পিআইসি সভাপতি বলেন, আমি এসও সাহেবকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে পিআইসি এনেছি। এ সংক্রান্ত সকল ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউএনও আবু তালেবের সঙ্গে প্রতিটি পিআইসি থেকে ঘুষ নেওয়া এবং বরাদ্দ বেশী দেওয়া সম্পর্কে কথা হলে তিনি বলেন, কোন পিআইসিতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কার কাছ থেকে এবং কে টাকা নিয়েছে এসব সুনির্দিষ্ট করে লিখিত অভিযোগ দেন। আমি উপজেলা টেকনিক্যাল কমিটি দ্বারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

১৪ নম্বর পিআইসির কথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, আমি এটা তদন্ত করে দেখছি ।

১০৭ নম্বর পিআইসি দেওয়ার জন্য মাফিক মিয়ার কাছ থেকে আপনি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাফিক মিয়া কে আমি চিনি না।

এসও আব্দুল কাইয়ুমের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এসআইএইচ

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা