শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘এরা হাওরের হাঙ্গর, এদের থেকে আমাদের রক্ষা করুন’

হাওরাঞ্চল শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের ইয়ারাবাদ গ্রামের কৃষক মাফিক মিয়া। পিআইসি বাঁধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইউএনও স্যারের সাথে আমার কথা হয়েছিল, এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিলে তিনি আমাকে পিআইসি দেবেন। স্যারের কথামতো নিজের হাতে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি । আমার প্রতিপক্ষ স্যারকে তিন লাখ টাকা অফার করলে স্যার আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে এনে বলেন পিআইসিটা নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি চলছে। আপনারা দুই পক্ষ মিলে যান। আমি অস্বীকৃতি জানালে তিনি বলেন-আমাকে মোট তিন লাখ টাকা দেন। যা হয় হবে, আমি আপনাকে পিআইসি দিয়ে দিব। আমি বললাম স্যার তিন লাখ টাকা দিতে পারব না, আমি আপনাকে দুই লাখ টাকা দিব। তখন তিনি বলেন আমার বুঝার আছে । পরে তিনি তিন লাখ টাকার বিনিময়ে আমার প্রতিপক্ষকে পিআইসি বাধঁটি দিয়ে দেন এবং আমার টাকাগুলোও ফেরত দেন।’

অপর কৃষক সোলেমান মিয়ার দাবি-‘বানের জল যতো না ভয়ংকর, তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর ইউএনও এবং এসও। এরা হাওরের হাঙ্গর। এদের থেকে আমাদের রক্ষা করুন।’

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার পিআইসি বাঁধের দুর্নীতি বিষয়ে একজন ভোক্তভুগী কৃষকের এমন বক্তব্য কখনোই আশাব্যঞ্জক নয়। এই অবস্থায় কৃষকের সোনালী ফসল তলিয়ে যায় অকাল বন্যায়। ফসল তলিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আগামীর স্বপ্নগুলোও ফিকে হয়ে যায় কৃষকদের। উপজেলার রক্ষা কর্তা এবং এসও’র নেতেৃত্বে বারবার এমনটি হচ্ছে-এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় কৃষকদের।

ফসলের মাঠে যখন সোনালী রঙ কৃষকের মুখে তখন আনন্দের ঝিলিক। সেই থেকে আগামীর স্বপ্ন রচনা। ছেলে/মেয়ের বিয়ে, সন্তানের শিক্ষা খরচ/স্কুল ভর্তি, চিকিৎসা, বিদেশ যাত্রাসহ সবকিছু নির্ভর করে এই বোরো ফলনের উপর। ফলে বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল। এখানে বোরো ফসলই কৃষকদের জীবন-জীবিকার একমাত্র প্রধান উৎস। ফলে নিজেদের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে বোরো ফসল উঠার অপেক্ষায় উন্মুখ থাকে কৃষকরা কিন্তু বাঁধ সাধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অকাল বন্যার কবলে তলিয়ে যায় কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অন্যান্য অঞ্চলের মতো প্রতিবারই হানা দেয় হাওরাঞ্চল শাল্লায়। এ জন্য প্রতি বছর ফসল রক্ষায় সহায়ক বাঁধ নির্মাণে আর্থিক বরাদ্ধ আসে যথারীতি। তবে এতে লাভবান হয় দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে দুর্নীতিবাজ কতিপয় মানুষ। কারণ সামান্য বৃষ্টিতেই ভেঙ্গে যায় অপরিকল্পিত বাঁধগুলো। তখন ফের সংস্কারের নামে আরও কিছু বরাদ্ধ লুটেপুটে নেয় দুর্নীতিবাজরা। এতে লাভ হয় না হাড়ভাঙ্গা খাটুনীর কৃষকদের। ফলে উৎবেগ, উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন লাখ লাখ কৃষকরা।

প্রতি বছর শাল্লার হাওরে বাঁধ নির্মাণের নামে টাকা লোপাটের ঘটনা নতুন নয়। একই ঘটনা চলতি বছরেও ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, খোদ উপজেলা ইউএনও আবু তালেবের নেতৃত্বেই ঘটছে এমন লোটপাটের ঘটনা। সাথে যুক্ত আছেন উপজেলা পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী (এসও)আব্দুল কাইয়ুম।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, শাল্লায় মোট ফসল রক্ষা বাঁধের সংখ্যা ১৯৭টি। এর মধ্যে ঝঁকিপূর্ণ বাঁধের সংখ্যা ৫টি। তবে এমন সংবাদ যতটা স্বস্থির ঠিক ততটাই বেদনার। কারণ বাঁধগুলো ভারি বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে ৮০ ভাগ। প্রতিটি বাঁধে প্রকৃত কৃষক রাখার শর্ত থাকলেও স্থান পেয়েছেন অকৃষক এবং দালাল শ্রেণির লোকজনরা। আর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে এসও আব্দুল কাইয়ুম এবং ইউএনও আবু তালেবের সিন্ডিকেটের কারণে। এমন অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের। অভিযোগকারী কৃষকদের দাবি, টাকার বিনিময়ে এমন অপকর্ম করে কৃষকের স্বপ্ন ফিকে করে দিচ্ছেন এসও আব্দুল কাইয়ুম এবং ইউএনও আবু তালেব।

কৃষকদের দাবি, প্রতিটা পিআইসি বাধঁ দেওয়া হয়েছে ঘুষের বিনিময়ে। ফলে বাদ পড়েছেন প্রকৃত কৃষক। এর ফলে শর্ত ভঙ্গ হয়েছে নীতিমালার। অকৃষককে সভাপতি করেই অক্ষত এবং অপ্রয়োজনীয় বাধেঁ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। আবার একই পিআইসির জন্য দুটি পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এতে কোন পক্ষকে পিআইসি দেবে, এটা নিয়ে বিপাকেও পড়েন তারা। সমস্যা সমাধানে অনেক পিআইসির দুইটি পক্ষকে মিলিয়ে একটা করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ঘুষের টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ার ভয়ে রাজি না হওয়ায় তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ১৬৯ নম্বর পিআইসি। এই বাঁধের জন্য দুটি কমিটিকে লিখিত ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে। পিআইসি সভাপতিদের সঙ্গে মৌখিক চুক্তির মাধ্যমে অধিকাংশ বাধেঁ দুই থেকে তিন গুণ টাকা বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটা বাধঁ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে দুই থেকে তিন লাখ টাকা।

এদিকে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে নেওয়া হয়েছে এক অভিনব কৌশল। কয়েক গুণ টাকা বরাদ্দ বেশি দিয়ে তাদেরকে দেওয়া হয়েছে কয়েকটা পিআইসি বাধেঁর কাজ। গত বছর অকাল বন্যায় বাধঁ তলিয়ে যায় এবং পানি কমে যাওয়ায় কিছু ক্লোজার ছাড়া বাধঁগুলো অক্ষত থেকে যায়। এর আগে প্রতিটি বাধেঁ লাখ লাখ টাকার মাটি ফেলা হয়েছে। যার ফলে বাধঁগুলোর অবস্থা মোটামুটি ভাল। তারপরও ওই বাঁধগুলোর জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়। সংশ্লিষ্ট কৃষকসহ অভিজ্ঞরা বলছেন, যেখানে দুই থেকে তিন লাখ টাকার কাজ করলেই বাধঁগুলোর কাজ সমপন্ন করা যেত সেখানে প্রতিটা বাধেঁ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।

বিশিষ্টজনদের অভিমত, প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে ভেসে আসা পলি মাটি এবং পিআইসি বাধেঁর মাটি পড়ে নদীগুলো কাদায় পরিণত হচ্ছে । অদূর ভবিষ্যতে নদী বলতে কিছু থাকবে না। নদীগুলো খনন না করলে পিআইসির বাধঁ দিয়েও ফসল রক্ষা করা যাবে না। সুতরাং ভরাট নদীগুলো খনন করাই এখন ফসল রক্ষার চিরস্থায়ী সমাধান। নদী খননের অপশন পানি উন্নয়ন বোর্ডের থাকলেও নদী খনন না করে অক্ষত বাধঁগুলোতে বরাদ্দের নামে কোটি কোটি দুর্নীতি হয়েছে।

এ বিষয়ে ফয়জল্লাপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার লালচাঁদ মিয়া, চানঁ মিয়া চৌধুরী, মুখন্দ দাস, চেচরণ দাস, নূর মিয়া ও জিয়াউল হকসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ১৪ নম্বর বাধেঁ যে ২৪৮০৩৬৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এটা সম্পূর্ণ দুর্নীতি। এসও সাহেবকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে তারা পিআইসি এনেছে। এখানে ৮৫ মিটার জায়গা লেখা থাকলেও সর্বোচ্চ জায়গা হবে ৫০ মিটার এবং কাজ করা হয়েছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার।

খালিয়াজুরী উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার জগন্নাথ দাস বলেন, খালিয়াজুরীর ১৩টা বাধঁই আমার নিজের চোখে দেখা এবং দুই-তিনটা ভাঙ্গা ছাড়া সব কয়টি বাধঁই অক্ষত, চার আনা কাজই করতে হচ্ছে না। সাধারণ কিছু মাটি দিয়ে শুধু ড্রেসিং আর স্লপ দিচ্ছে। প্রতিটা বাধেঁ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা খরচ হতে পারে বলে জানান তিনি । এ ছাড়াও আরও অসংখ্য বাধঁ রয়েছে, যা দুই থেকে তিন লাখ টাকার কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।

৪৮ নম্বর পিআইসির সদস্য সচিব, মৌরাপুর গ্রামের কৃষ্ণ কান্ত দাস চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা কোথায়? এদেশের মানুষকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে পিআইসি আনতে হয়। পাঁচ বছর যাবত এসও অফিসে যে দুর্নীতি হচ্ছে তা দেখেননি কেন?’

২১ নম্বর পিআইসির সদস্য সচিব মৌরাপুর গ্রামের সুকেশ চন্দ্র দাস বলেন, এসও সাহেবকে দেড় লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে পিআইসি এনেছি।

৩৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি বাহাড়া গ্রামের মেঘলাল দাস বলেন, আমরা অনেক লসে আছি। কারণ দুটি পক্ষকে মিলাইয়া পিআইসি দেওয়া হয়েছে। এতে ঘুষের পরিমাণ অত্যধিক হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

৩৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি হরিনগর গ্রামের স্বনন্দ কুমার দাস বলেন, পিআইসি আনার আগেই অ্যাডভান্স ঘুষ দিতে হয় আর এটা কেউ বলবে না। কারণ আগেই সবাই হলফ করে আসে ঘুষের কথা প্রকাশ না করার জন্য ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হবিবপুর ইউনিয়নের এক পিআইসি সভাপতি বলেন, আমি এসও সাহেবকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছি। ইটনা উপজেলার, ধনপুর ইউনিয়নের এক পিআইসি সভাপতি বলেন, আমি এসও সাহেবকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে পিআইসি এনেছি। এ সংক্রান্ত সকল ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউএনও আবু তালেবের সঙ্গে প্রতিটি পিআইসি থেকে ঘুষ নেওয়া এবং বরাদ্দ বেশী দেওয়া সম্পর্কে কথা হলে তিনি বলেন, কোন পিআইসিতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কার কাছ থেকে এবং কে টাকা নিয়েছে এসব সুনির্দিষ্ট করে লিখিত অভিযোগ দেন। আমি উপজেলা টেকনিক্যাল কমিটি দ্বারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

১৪ নম্বর পিআইসির কথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, আমি এটা তদন্ত করে দেখছি ।

১০৭ নম্বর পিআইসি দেওয়ার জন্য মাফিক মিয়ার কাছ থেকে আপনি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাফিক মিয়া কে আমি চিনি না।

এসও আব্দুল কাইয়ুমের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা