সরকারি ভূমি উদ্ধারের পরেই ফের দখলে যুবলীগ নেতা
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে দখলে থাকা সরকারি ভূমি উদ্ধারের ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই ফের দখলে নিল উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান সজিব। শুধু তাই নয় প্রশাসনের স্থাপন করা সাইনবোর্ডটি অপসারণ করে নিজের নামের সাইনবোর্ডটি পুনঃস্থাপন করেছেন। তবে সজিবের দাবী- নিজের সাইনবোর্ডটি তার লোকজন স্থাপন করেছেন। কিন্তু প্রশাসনের সাটানো সাইনবোর্ডটি কে বা কারা সরিয়েছে তার তার জানা নেই। উপজেলা ভূমি অফিস থেকে জানানো হয়েছে, জেলা প্রশাসন কর্তৃক লাগানো সাইনবোর্ডটি সরানোর জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শানবাড়ি মোজার ১নং খাস খতিয়ানের ৫৪৮ দাগের ০.৭৪ একর জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভোগ-দখল করছিলেন মমিনুর রহমান সজিব। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব শাখা) ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামানের ভ্রাম্যমান আদালত ওই ভূমি সজিবের কাছ থেকে দখলমুক্ত করেন।
তারপর '১নং খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি ভূমি' লেখা একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেন ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু দখলমুক্তের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সরকারি সাইনবোর্ডটি গায়েব হয়ে যায়। আর সেখানে মমিনুর রহমান সজিব প্রশাসনের সাথে কোন কথা না বলেই তার নামের সাইনবোর্ড লাগান।
বেআইনীভাবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভ্রাম্যমান আদালত আমার ভূমি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করে। আমি সেসময় থাকলে এটা সম্ভব হত না। তাই উচ্ছেদের পরদিন আমি আবারো আমার ভূমির দখল নেই। তবে প্রশাসনের লাগানো সাইনবোর্ড কে বা কারা সরিয়েছে, তা আমার জানা নেই বলেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিব।
তার অভিযোগ, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামকে অনৈতিক সুবিধা না দেয়ার হিংসার বশবর্তী হয়ে জেলা প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করানো হয়।
সজিবের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এস,এ ও আরএস খতিয়ান অনুযায়ী ওই ভূমির মালিক জেলা প্রশাসক। সজিব এতদিন অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন। তাই জেলা প্রশাসন থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আর সরকারি সাইনবোর্ড সরানো একটি অপরাধ। অবশ্যই অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ কামরুজ্জামান জানান, সজিব যদি লিজসূত্রে মালিক হন তাহলে অবশ্যই কাগজপত্র রয়েছে এগুলো যাচাই-বাছাই করব। আর সরকারি সাইনবোর্ড অপসারণ করার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
এএজেড