শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আওয়ামী লীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি, সুবিধাজনক অবস্থায় বিএনপি

হবিগঞ্জে চায়ের কাপে ঝড় উঠতে শুরু করছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি নিবার্চনে অংশ নিবে কি-না, কি হবে নিবার্চনকালীন, নাকি আবারো হরতাল অবরোধে পড়বে দেশ-এসব নিয়ে চলছে চায়ের টেবিলে আলোচনা আর সমালোচনা। এরই মাঝে ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন। পোস্টার, লিফলেট ছাপানো ছাড়াও অনেকে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন। কেউ কেউ আবার সুযোগ বুঝে গণসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি আসনেই বড় রাজনৈতিক দুটি দলের রয়েছেন একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে রয়েছে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। তাদের তুলনায় অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। তবে জোটের গ্যাড়াকলে পড়তে পারেন সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা বিএনপি প্রার্থীরা। এ জেলায় মোট ভোটার ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৯১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লক্ষ ৬ হাজার ১৮৭ ও মহিলা ভোটার ৭ লক্ষ ৮১ হাজার ৭২৩ জন।

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর তনয় দেওয়ান মিলাত গাজী। আগামী নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। তিনি ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন হাফ ডজনের মতো। তারা হচ্ছেন -সাবেক এমপি কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরীর কন্যা (হবিগঞ্জ-সিলেট) আসনের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী। এ ছাড়াও বাহুবল উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল মুকিত চৌধুরীর নাম শুনা যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে বেশীরভাগ সময় আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। আওয়ামী লীগও মনে করে এখানে তাদের রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। কারণ এখানে রয়েছে চা বাগানসহ বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু ভোটার। কিন্তু ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি উপনিবার্চনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে পরাজিত করে আওয়ামী দূর্গে আঘাত আনেন বিএনপি প্রার্থী শেখ সুজাত। যদিও উপ-নিবার্চন নিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক তৃণমুল নেতা-কর্মীর দাবি, আওয়ামী লীগ ভুল প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় শেখ সুজাত নিবার্চনে জয়ী হতে পেরেছে। আগামী নিবার্চনে বিএনপি শেখ সুজাতকে দিয়েই আবারও আওয়ামী দূর্গে আঘাত আনতে চাইবে।
বিএনপি নিবার্চনে অংশগ্রহণ করলে তার মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত বলে তার সমর্থকরা মনে করলেও জোটের গ্যাড়াকলে পরে অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া হবে জোটের প্রার্থী। জোট না হলে উভয় দলের জন্য ড. রেজা কিবরিয়াই সবচেয়ে ফ্যাক্টর। এ ছাড়াও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মাওলানা আব্দুল্লাহ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল হান্নান নাম শুনা যাচ্ছে।

এ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৫ হাজার ৫২জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫ হাজার ৮৭১ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৮০ জন।

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ দলীয় অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ নিয়ে তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ছাড়াও আগামী সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হুসেন মাস্টার, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ. সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও দেশ টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিকুর রহমান চৌধুরী পরাগ, ইংল্যান্ড প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার এনামুল হক, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল, ঢাকা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজা বেগম সাঈদা। আর বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক আহমদ আলী মুকিব। এদিকে এই আসনে ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনের মনোয়ন অনেকটাই নিশ্চিত মনে করেন তার অনুসারীরা।

এ ছাড়াও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন দলটির জেলা সাধারণ সম্পাদক শংকর পাল। আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি বাদে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের প্রার্থী মৌলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও ডা. মাওলানা বশির আহমদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা লুৎফুর রহমান চৌধুরী আজাদ।

তা ছাড়াও একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আফছর আহমেদ রুপক। তিনি দৈনিক আমাদের সময়ের স্বাস্থ্য বিটের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুবাদে চিকিৎসকদের সঙ্গে রয়েছে সুসর্ম্পক। তাদের সঙ্গে সুসর্ম্পক থাকায় এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষের কম খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে একটি শক্ত ভিত গড়ে তুলেছেন। এর পাশাপাশি তিনি প্রতিষ্ঠা করছেন রুপক হেল্প ক্লাব। ক্লাবের সদস্যরা বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আগামী নিবার্চনে তিনি বড় দুই দলের জন্যই মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের আসন হিসেবে পরিচিত। এখন পর্যন্ত এই আসনে ১ বার বিএনপি, ২ বার জাতীয় পার্টি এবং বাকি ৮ বারই আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে নিবাচনী প্রচারণায় এই আসনে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৫ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৮ জন।

হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী নিবার্চনেও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন। দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী তালিকায় রয়েছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান, চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাট্রিজের প্রেসিডেন্ট মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি) আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম, ইংল্যান্ড প্রবাসী সুশান্ত দাশ গুপ্ত, লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজ আহমেদ। আর বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জি কে গউছ। তিনি ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিম। ২০১৪ সালের অসহযোগ আন্দোলনের সময় জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে তিনি সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকায় তৃণমুল নেতা-কর্মীদের মাঝে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন। এখানে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি শিল্পপতি মো. আতিকুর রহমান আতিক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী দলটির জেলা সভাপতি মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল। তবে এটিও আওয়ামী লীগের আসন হিসেবেই পরিচিত। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে এই আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া।

এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫৬০ ও ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৯৫ জন।

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বেসামরিক ও বিমান পযর্টন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। তিনি সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আসাদ আলীর ছেলে। তিনি ছাড়াও আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন- ঢাকা মহানগর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মতিউল হক মতি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট এম. আকবর হোসেন জিতু, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী প্রয়াত এনামুল হক মোস্তফা শহীদের ছেলে নিজামুল হক রানা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল হাই’র ছেলে আরিফুল হাই রাজিব, মাধবপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মুসলিম।

এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন-উপজেলা চেয়ারম্যানও বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি সৈয়দ মো. শাহজাহান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।
এ ছাড়াও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি শিল্পপতি মো. আতিকুর রহমান আতিক। তিনি ছাড়াও মনোনয়ন চাইতে পারেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মাওলানা ফারুক আহমদ নোমানী ও ডা. আহমদ আব্দুল কাদের এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা কামাল উদ্দিন।

এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪০ হাজার ২৫১ ও মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩২ হাজার ৮২৫ জন।

এসআইএইচ


Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত