মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আওয়ামী লীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি, সুবিধাজনক অবস্থায় বিএনপি

হবিগঞ্জে চায়ের কাপে ঝড় উঠতে শুরু করছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি নিবার্চনে অংশ নিবে কি-না, কি হবে নিবার্চনকালীন, নাকি আবারো হরতাল অবরোধে পড়বে দেশ-এসব নিয়ে চলছে চায়ের টেবিলে আলোচনা আর সমালোচনা। এরই মাঝে ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন। পোস্টার, লিফলেট ছাপানো ছাড়াও অনেকে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন। কেউ কেউ আবার সুযোগ বুঝে গণসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি আসনেই বড় রাজনৈতিক দুটি দলের রয়েছেন একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে রয়েছে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। তাদের তুলনায় অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। তবে জোটের গ্যাড়াকলে পড়তে পারেন সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা বিএনপি প্রার্থীরা। এ জেলায় মোট ভোটার ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৯১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লক্ষ ৬ হাজার ১৮৭ ও মহিলা ভোটার ৭ লক্ষ ৮১ হাজার ৭২৩ জন।

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর তনয় দেওয়ান মিলাত গাজী। আগামী নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। তিনি ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন হাফ ডজনের মতো। তারা হচ্ছেন -সাবেক এমপি কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরীর কন্যা (হবিগঞ্জ-সিলেট) আসনের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী। এ ছাড়াও বাহুবল উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল মুকিত চৌধুরীর নাম শুনা যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে বেশীরভাগ সময় আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। আওয়ামী লীগও মনে করে এখানে তাদের রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। কারণ এখানে রয়েছে চা বাগানসহ বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু ভোটার। কিন্তু ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি উপনিবার্চনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে পরাজিত করে আওয়ামী দূর্গে আঘাত আনেন বিএনপি প্রার্থী শেখ সুজাত। যদিও উপ-নিবার্চন নিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক তৃণমুল নেতা-কর্মীর দাবি, আওয়ামী লীগ ভুল প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় শেখ সুজাত নিবার্চনে জয়ী হতে পেরেছে। আগামী নিবার্চনে বিএনপি শেখ সুজাতকে দিয়েই আবারও আওয়ামী দূর্গে আঘাত আনতে চাইবে।
বিএনপি নিবার্চনে অংশগ্রহণ করলে তার মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত বলে তার সমর্থকরা মনে করলেও জোটের গ্যাড়াকলে পরে অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া হবে জোটের প্রার্থী। জোট না হলে উভয় দলের জন্য ড. রেজা কিবরিয়াই সবচেয়ে ফ্যাক্টর। এ ছাড়াও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মাওলানা আব্দুল্লাহ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল হান্নান নাম শুনা যাচ্ছে।

এ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৫ হাজার ৫২জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫ হাজার ৮৭১ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৮০ জন।

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ দলীয় অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ নিয়ে তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ছাড়াও আগামী সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হুসেন মাস্টার, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ. সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও দেশ টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিকুর রহমান চৌধুরী পরাগ, ইংল্যান্ড প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার এনামুল হক, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল, ঢাকা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজা বেগম সাঈদা। আর বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক আহমদ আলী মুকিব। এদিকে এই আসনে ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনের মনোয়ন অনেকটাই নিশ্চিত মনে করেন তার অনুসারীরা।

এ ছাড়াও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন দলটির জেলা সাধারণ সম্পাদক শংকর পাল। আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি বাদে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের প্রার্থী মৌলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও ডা. মাওলানা বশির আহমদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা লুৎফুর রহমান চৌধুরী আজাদ।

তা ছাড়াও একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আফছর আহমেদ রুপক। তিনি দৈনিক আমাদের সময়ের স্বাস্থ্য বিটের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুবাদে চিকিৎসকদের সঙ্গে রয়েছে সুসর্ম্পক। তাদের সঙ্গে সুসর্ম্পক থাকায় এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষের কম খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে একটি শক্ত ভিত গড়ে তুলেছেন। এর পাশাপাশি তিনি প্রতিষ্ঠা করছেন রুপক হেল্প ক্লাব। ক্লাবের সদস্যরা বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আগামী নিবার্চনে তিনি বড় দুই দলের জন্যই মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের আসন হিসেবে পরিচিত। এখন পর্যন্ত এই আসনে ১ বার বিএনপি, ২ বার জাতীয় পার্টি এবং বাকি ৮ বারই আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে নিবাচনী প্রচারণায় এই আসনে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৫ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৮ জন।

হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী নিবার্চনেও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন। দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী তালিকায় রয়েছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান, চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাট্রিজের প্রেসিডেন্ট মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি) আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম, ইংল্যান্ড প্রবাসী সুশান্ত দাশ গুপ্ত, লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজ আহমেদ। আর বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জি কে গউছ। তিনি ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিম। ২০১৪ সালের অসহযোগ আন্দোলনের সময় জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে তিনি সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকায় তৃণমুল নেতা-কর্মীদের মাঝে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন। এখানে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি শিল্পপতি মো. আতিকুর রহমান আতিক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী দলটির জেলা সভাপতি মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল। তবে এটিও আওয়ামী লীগের আসন হিসেবেই পরিচিত। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে এই আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া।

এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫৬০ ও ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৯৫ জন।

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বেসামরিক ও বিমান পযর্টন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। তিনি সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আসাদ আলীর ছেলে। তিনি ছাড়াও আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন- ঢাকা মহানগর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মতিউল হক মতি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট এম. আকবর হোসেন জিতু, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী প্রয়াত এনামুল হক মোস্তফা শহীদের ছেলে নিজামুল হক রানা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল হাই’র ছেলে আরিফুল হাই রাজিব, মাধবপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মুসলিম।

এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন-উপজেলা চেয়ারম্যানও বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি সৈয়দ মো. শাহজাহান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।
এ ছাড়াও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি শিল্পপতি মো. আতিকুর রহমান আতিক। তিনি ছাড়াও মনোনয়ন চাইতে পারেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মাওলানা ফারুক আহমদ নোমানী ও ডা. আহমদ আব্দুল কাদের এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা কামাল উদ্দিন।

এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪০ হাজার ২৫১ ও মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩২ হাজার ৮২৫ জন।

এসআইএইচ


Header Ad
Header Ad

'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই গুজরাটে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ শনাক্তে রাজ্য পুলিশের বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬,৫০০ জনের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৪৫০ জনের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে, বাকিরা অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান বলে জানা গেছে।

গুজরাট পুলিশের ডিজি বিকাশ সহায় সোমবার (২৮ এপ্রিল) পিটিআইকে বলেন, “এখন পর্যন্ত ৪৫০ জনের নথিপত্র দেখে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাতে আহমেদাবাদ ও সুরাত শহরে শুরু হওয়া অভিযান পরে গুজরাটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার আইডি ও পাসপোর্ট থাকলেও পুলিশ তাদের পরিচয় মানছে না।

সুরাতের বাসিন্দা সুলতান মল্লিক, যিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার নাগরিক, তাকে তার দুই ভাগ্নেসহ মধ্যরাতে আটক করা হয়। স্ত্রী সাহিনা বিবি বলেন, “পুলিশ বলে কিছুক্ষণেই ছেড়ে দেবে। কিন্তু তিন দিনেও তাদের খোঁজ নেই।”

আহমেদাবাদে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা বরযাত্রীরাও এই অভিযানে আটক হন। স্থানীয় বাসিন্দা আলমআরা পাঠান জানান, “২৩ বছর ধরে এখানে আছি। ছেলেও এখানেই জন্মেছে, তবুও পুলিশ তাকে বাংলাদেশি সন্দেহে ধরে নিয়ে যায়।”

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন ‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ’ জানায়, গুজরাট ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশায়ও বাংলাভাষী মুসলিমদের হয়রানির অভিযোগ আসছে।

পুলিশ বলছে, আধার বা ভোটার আইডি যথেষ্ট প্রমাণ নয়, কারণ সেগুলো নকল হতে পারে। এজন্য সীমান্তবর্তী রাজ্য থেকে তদন্তকারী দলও আনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের প্রধান আসিফ ফারুক বলেন, “বাংলাভাষী ও মুসলমান হলেই কি তাদের নাগরিক অধিকার খর্ব হবে? এরা কি দেশের অন্যত্র কাজ করতে পারবে না?”

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

দীপ্ত টেলিভিশনের সংবাদ বিভাগ বন্ধ করার বিষয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি বা ফোনও করেনি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সচিবালয়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, “আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে কোনো কল দিইনি। দীপ্ত টিভির একজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং সংবাদ বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে— এতে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে এটি সরকারের নির্দেশে হয়েছে। অথচ এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।”

সভায় সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, “গত বছরের জানুয়ারিতে আমি নিজে একটি টিভি চ্যানেলে চাকরির জন্য গিয়েছিলাম। আমাকে মাত্র ১৩ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই অল্প বেতনে একজন মানুষ ঢাকা শহরে কীভাবে জীবন চালাবে, পরিবারকে কীভাবে দেখবে?”

তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের টেকসই উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার একটি গঠনমূলক রোডম্যাপ তৈরি করছে।”

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, একাডেমিক, মানবাধিকারকর্মীসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি। আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মালিকপক্ষের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, সাংবাদিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মতামত উঠে আসে।

Header Ad
Header Ad

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতেও দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এমনটি জানানো হয়।

সোমবার সিনেটে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জাতীয় সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সম্মেলন (Multi-Party Conference) আহ্বান করা প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার জেল থেকে মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

পিটিআইয়ের সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন। ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বকে দেখাবে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান যদি অংশ নেন, তাহলে তা হবে শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা।

পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরান খানকে টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, ইমরান টিভির মাধ্যমে জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ওয়াগা সীমান্তে পদযাত্রা করার ডাক দিলে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।

তার ভাষায়, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে যথাযথ বার্তা দিতে পারেন।”

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন–এর সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী ভারতের প্রতি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পেহেলগামের হামলা আসলে একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন— যা ভারতের নিজস্ব সংস্থারই পরিকল্পিত, পাকিস্তানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”

তিনি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের শিকার, বরং ভারত এখন নাৎসি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, তারাই বরং দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী হামলার শিকার। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থার দিকে গড়াতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা
এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই