খাদ্য সংকটে সাতছড়ী জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণী লোকালয়ে
হবিগঞ্জের সাতছড়ী জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসছে। খাদ্য সংকটের কারণে বন্য প্রাণীরা বিশেষ করে বানর বনের ভেতর থেকে বেড়িয়ে লোক সমাগমে চলে আসছে। তবে বনবিভাগের দাবি, বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক নিয়মে বাইরে আসছে।
শীত মৌসুমে গাছের পাতা মরে ঝড়ে যায় এবং কোনো ধরনের ফলমূল থাকে না বনের ভেতরে। ফলে ফলমূল ও গাছের কচি পাতার উপর নির্ভরশীল প্রাণীদের খাদ্য সংকট দেখা দেয়। বনের ভেতরে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় খাবারের জন্য হরিণ লোকালয়ের নিকটবর্তী লেবু বাগানে চলে আসে দিনের বেলায়। তবে মানুষের শব্দ পেলেই দ্রুত পালিয়ে যায়। এক্ষেত্রে বানরগুলো ব্যাতিক্রম, সাহস করে মানুষের খুব কাছে চলে আসে।
পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন জানায়, এর আগে বানর বা অন্য কোনো প্রাণীকে মানুষের এত কাছে আসতে দেখা যায়নি। এখানে ঘুরতে আসা অনেক পর্যটক খাবার কিনে দেয় বানরগুলোকে। বানরগুলো সেই খাবার সানন্দে খাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, বন্যপ্রাণীগুলো বেশীরভাগই গাছের উপর খাদ্য নির্ভরশীল। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভিতরে গাছগুলো চুরি হয়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তাই খাদ্য আহরণ করতে তারা লোকালয়ে চলে আসছে।
এ বিষয়ে সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান চিত্তরঞ্জন বর্মা বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে এখানে ছেড়ে দেওয়া হয়। বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় লোকালয়ে চলে আসছে।
এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বন্য প্রাণীরা শুধু খাদ্য সংকটের জন্য বাইরে আসে না স্বাভাবিক কারণেও আসে। বর্তমানে শূকর, মায়া হরিণ বেড়ে যাওয়ায় বানর ও অন্যান্য প্রাণীদের মাঝে মাঝে বাইরে আসতে দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে অবৈধভাবে প্রাণী শিকারী এবং গাছ চুরি রোধ করায় সাতছড়ী জাতীয় উদ্যানে প্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে।
এসআইএইচ