সুনামগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মধ্যরাতে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে কাঁচা, আধাপাকা ও টিনসেড প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ভেঙে, উপড়ে পড়েছে ছোট বড় গাছপালা ও বিদ্যুতের তার। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) গভীর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পেয়ে উপজেলার প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেন। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন ৪০টি পরিবার।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া এবং ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন।
ঘূর্ণিঝড়ে দরগাপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, কিবরিয়া, ইউনুছ আলী, জমির আলী, নিজাম উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, আঙ্গুর মিয়া, আলিফ পাঠান, মকদ্দুছ আলী, মাছুম, আব্দুল হাদি, মুজাক্কির, আব্দুর রউফ, কাইয়ূম, শামছুল আলম, মাসুক মিয়া, মন্না মিয়া, সেলাল মিয়া,আছকিয়া খান, আব্দুর রহমান, হাকি মিয়া, সিদ্দিকুর খান, ইকবাল খান, তাই মিয়া, সেলিম পাঠান, মুক্তার আলী, কবির মিয়া, বসির মিয়া, মাহমুদা বেগম, সামাদসহ ৪০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সরকারি অনুদান দেওয়া হবে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ হলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আশা রাখি খুব দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।
এসজি