শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আসামি না হয়েও শ্রমিক লীগ নেতাকে হেনস্থা: ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ

সুনামগঞ্জের জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সেলিম আহমেদকে যুবদল নেতার একটি পুরনো চাঁদাবাজি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি উল্লেখ করে গত ১৬ আগস্ট গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। অথচ এই মামলার বাদী নিজেও শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিমের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি। মামলায় সাতজন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ১৫ আগস্ট তাহিরপুরে সেলিমের নেতৃত্বে শোকসভা আয়োজনের পর ১৬ আগস্ট তাকে যুবদল নেতার দায়ের করা ওই মামলার আসামি না হলেও সন্দেহভাজন উল্লেখ করে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এতে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। একজন যুবদল নেতার মামলায় জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জেলহাজতে তা মেনে নিতে পারছে না আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, সেলিম আহমেদ আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ ও মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

অনুসন্ধান বলছে, সম্প্রতি ১৫ আগস্ট তাহিরপুর উপজেলায় শোকসভা আয়োজন নিয়ে বিরোধ চলছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের দুই পক্ষের মধ্যে। এক পক্ষে ছিলেন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কমিটির ৪৭ সদস্য কর্তৃক সাংগঠনিকভাবে বহিস্কৃত নেতা আবুল হোসেন খা ও অমল কর। তাদের সঙ্গে সভায় নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। আর সেলিম আহমেদ ছিলেন তাহিরপুর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সদস্যদের পক্ষে। যারা দলকে সংগঠিত করতে আবুল ও অমলকে বহিস্কার করেছিলেন। ১৫ আগস্ট তাহিরপুরের বাজার এলাকায় নিকটবর্তী জায়গায় সভা করে দুই পক্ষ। এ সময় সেলিমের নেতৃত্বাধীন সভায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হয়। অন্যদিকে বর্তমান এমপি রতনের উপস্থিতি থাকার পরেও অন্য পক্ষের সভাটিতে লোকজন কম থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনায় আসেন সেলিম। এমপির চেয়ে জনপ্রিয়তা বেশি হয়ে যাওয়ায় সেলিমকে পরদিনই পুলিশি হয়রানি করা হয়ে বলে অভিযোগ তাহিরপুরের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের এবং স্থানীয় মানুষদের।

এসব ছাড়াও শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম জেলার অন্যতম ব্যবসায়ী হওয়ায় নানাভাবে তার ব্যবসায় অংশীদারিত্ব চেয়ে তাকে হয়রানি করে আসছিল একটি পক্ষ। সরকারকে ৩০ কেটিরও বেশি টাকা রাজস্ব দিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন সেলিম। তাকে বিপদে ফেলতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল অনেকেই। জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে থাকা এক নেতাও তার সঙ্গে কাজ না করায় ক্ষুব্ধ ছিলেন। সব মিলিয়ে চক্রান্ত বা বিরোধ চলে আসছিল লোকচক্ষুর আড়ালেই। পাশাপাশি বখত পরিবারের জামাতা হিসেবেও এই পরিবারকে হেও প্রতিপন্ন করার অংশ হিসেবে তার দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক কুট কৌশলকারীদের। বিপরীতে নম্র স্বভাবের ও ক্লীন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সেলিম বুঝতে পারেননি তার জন্য অপেক্ষা করছে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যা মামলার বাদী যুবদল নেতা অলি নিজেও জানেন না।

১৫ আগস্ট শোকসভা সফল হলেও ১৬ আগস্টের সকালটা সেলিমের জন্য ছিল হেনস্থার। সকাল ৮টার আগে থেকেই সেলিমের হাসননগরস্থ ময়নার পয়েন্ট এলাকার বাসার সামনে অবস্থান নেয় গোয়েন্দারা। অনেকটা ফিল্মি কায়দায় যেনো অপরাধী ধরতে অভিযান পলিচালনা করে পুলিশ সদস্যরা। মামলায় তার নাম উল্লেখ না থাকলেও তাকে থানায় যেতে আহ্বান করে পুলিশ। তিনি বাসা থেকে নিজের গাড়িতে করেই থানায় রওনা করেন। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতেন সেলিম। সেই ধারণা থেকেই হয়তো নতুন কোনও কারণে সহযোগিতার প্রয়োজন ভেবে সেলিম থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখোনে তাকে আটক দেখায় পুলিশের ডিবি সদস্যরা। কারো মামলায় উল্লেখিত অপরাধী না হলেও তাকে আটকের খবর জানাজানি হলে পুরো শহরে নিন্দার ঝড় বইতে থাকে। এরপর তাকে যুবদল নেতার করা পুরনো ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় সন্দেহভাজন আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কোর্টে চালানও করে দেওয়া হয়। ওই দিনই ১০ দিনের রিমান্ডও আবেদন করে পুলিশ। এ সময় আদালতের এজলাশে আইনজীবীদের সবাই সেলিমের পক্ষে ন্যয় বিচার চাইলে আদালত পরদিন এই শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। যদিও পরদিন শুনানির সময় বাদী পক্ষে কোনও আইনজীবি দাড়াননি। সকল আইনজীবিরা একযোগে সেলিমের পক্ষে ন্যয়-বিচার চান। এ সময় পুলিশ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনও প্রমাণ না দেখাতে পারায় “ সোর্সের বরাতে তাকে আনা হয়েছে” বলে উল্লেখ করে। সেই সময় আদালত পুলিশের চাওয়া রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেননি। তবে সেলিমকে জেল গেইটে ঘটনার ব্যাপারে ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে বলে আদেশ দেন।

এ অবস্থায় সেলিমকে রাজনৈতিকভাবে বিপদে ফেলার জন্য অপকৌশলের মাধ্যমে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাহিরপুরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও।

তাহিরপুরের ছাত্রলীগ নেতা সুমন বলেন‘ এলাকার আওয়ামী লীগের মাঝে অনেকদিন ধরেই নানা কোন্দল ছিল। সেলিম ভাই এই সমস্যা দূর করে সম্প্রতি তাদের নিয়ে দলকে কর্মচঞ্চল করে তোলেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় একটা পক্ষ।

তিনি আরও বলেন, তাকে এখান থেকে সরাতেই চক্রান্ত চলছিল। ১৫ আগস্টের শোকসভাতে উনার সভায় বেশি মানুষ হওয়ায় অন্য পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়। ওইটাতে এমপিও ছিলেন। এখন সেলিম ভাইয়ের এ অবস্থার জন্য বুঝাই যাচ্ছে যে এটা পরিকল্পিত ঘটনা।

সুনামগঞ্জ জেলার সচেতন মহল বলছেন, সুনামগঞ্জের রাজনীতি দিন দিন যে কত খারাপ হচ্ছে তা বিগত কয়েক মাস ঘাটলেই বুঝা যায়। আফসোস ভালো মানুষরা রাজনীতি ছেড়ে দিবে। তবে এর আগের দিন তাহিরপুরে স্মরণকালের শোক সমাবেশ করে অনেকের ‘বদ নজরে’ পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা শহরের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, ক্ষমতাশীন দলের একজন প্রভাবশালী নেতাকে এভাবে ‘হাওয়াই মামলায়’ জড়ানোয় আওয়ামী লীগের জন্য কলংকজনক।

শরীফ উদ্দিন জানান, যিনি ৩০ কোটি টাকা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে যাদুকাটা নদীর ইজারা নিয়েছেন তিনি কিভাবে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলার আসামি হন। বরং যারা যাদুকাটায় বিনা পয়সার ভাগিদার না করায় ক্ষুব্ধ। তাদের ষড়যন্ত্রে আজ তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। একজন যুবদল নেতার দায়ের করা মামলায় জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমেদকে জড়ানো হয়েছে। তালিকাভুক্ত আসামি না হলেও তাকে আটক করানো হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার ভাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ওই মামলার বাদীর সঙ্গে আমার চাচাতো ভাইদের ব্যবসায়িক বিরোধ রয়েছে। আমার ভাইয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় আসামিও না তার পরও এই মামলার জেরের সুযোগ নিয়ে সেলিমকে ফাঁসানো হয়েছে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম