যুবকের আত্মহত্যায় ২ সুদখোরের বিরুদ্ধে মামলা
সুদের চাপ সইতে না পেরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকালে নিহতের পিতা উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের পাতারি গ্রামের আজিজুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় দুই সুদখোরকে আসামী করা হয়।
সুদখোর দুই আসামী হলেন উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রামের মুসলিম মেম্বারের ছেলে সফিক মিয়া (৩৮) ও বাদাঘাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের রফিক মিয়া (৪০)। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে সফিক নামের এক জনের সুদের টাকার কথা উল্লেখ করে নিহত যুবক ফয়সাল আহমদ সৌরভ (৩০) নামের যুবক আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেয়।
মৃত্যুর পূর্বে নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছে- 'আমি গলায় দরি দিলাম তুই রফিকের লাগি, তুই আমারে কাবু করিয়া লাশ বানাইলি, তুই ভাল থাক বেইমান, সফিকের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা আনছিলাম সুদে, তিন লক্ষ টাকা সুদ দিয়েও সাড়ে তিন লক্ষ টাকা এখনও সে পায়। এই রফিক আর সফিকের লাগি আমি আত্মহত্যা করলাম। ভাল থাক আমার পরিবার। মা ফাইজা আমায় ক্ষমা করো মা বাবা, ভাই বোন তোমরা ক্ষমা করিও। বউ তোমাকে কিছু বলার নাই। ইতি- এক কাপুরুষ!!!'
আরও পড়ুন: সুদের টাকার চাপ, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা
পরে এলাকাবাসী তার এমন ফেসবুকে পোস্ট দেখে খোঁজ করলে ঘণ্টা খানেক পরে পাতারি গ্রামের এক ফাঁকা রাস্তায় গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফেইসবুক পোষ্টে অভিযুক্ত সুদখোর সফিক মিয়া আনোয়ারপুর গ্রামের এবং রফিক মিয়া বাদাঘাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। দুইজনেই এলাকার চিহ্নিত সুদি ব্যবসায়ী।
এই নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সুদি ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছেন নেটিজেনরা। তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) সুহেল রানা জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় দুই সুদখোরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এএজেড