সারাদেশের চা বাগানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে সারাদেশের সকল চা বাগানগুলোতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে দেশের সকল চা বাগানে একযোগে ধর্মঘট শুরু হয়। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, আজ সকাল থেকে দেশের ২৩১টি চা বাগানের প্রায় দেড় লাখ চা শ্রমিক ধর্মঘট পালন করেছেন। সকাল থেকেই শ্রমিকদের ধর্মঘট সর্বাত্নকভাবে পালিত হচ্ছে।
সরেজমিনে মৌলভীবাজারের ভাড়াউড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, চা শ্রমিকরা বাগানের নাট মন্দিরের সামনে জড়ো হয়েছেন। সবাই কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে দুই সহস্রাধিক চা শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এক ঘণ্টার জন্য অবরোধ করে রাখেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ বলেন, আমাদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবি খুবই যৌক্তিক। বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে যাতে চা বাগানের মালিকপক্ষ আমাদের মজুরি বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা করে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা জানান, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা আজ থেকে সর্বাত্নক ধর্মঘট পালন করছি। আগামী দুই দিন বাগানের সাপ্তাহিক ছুটি ও শোক দিবসের কারণে আন্দোলন স্থগিত থাকবে। আমরা আজ বৈঠকে বসে পরবর্তী করনীয় ঠিক করব।
এদিকে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট বিভাগীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় আন্দোলনে যাওয়া শ্রমিকদের উচিত হয়নি। এটি শ্রম আইনেরও পরিপন্থী। চায়ের এই ভরা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকলে মালিক-শ্রমিক উভয়েরই ক্ষতি হবে। আমরা আশা করব শ্রমিকরা দ্রুত কাজে ফিরবেন।
এসআইএইচ