নবাবগঞ্জে স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে পিটিয়ে হত্যা
ছবি:সংগৃহীত
দিনাজপুরে নবাবগঞ্জে মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে খাটের পাশি দিয়ে পিটিয়ে মর্জিনা বেগম (৩০) নামে এক নারীকে হত্যা করেছে স্বামী শহিদুল। এ ঘটনায় আফরিন আক্তার (৭ ) নামে এক শিশু রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার মারা গেছে। ছেলে আল আমিন (১২) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) নামক গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মর্জিনা বেগম (৩০) ও শিশু আফরিন (৭) নবাবগঞ্জ উপজেলার হেয়াতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও কন্যা।
জানা গেছে,শহিদুল প্রথমে স্ত্রীকে হত্যার করার পর তার দুই শিশু সন্তানদের খাটের পাশি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত শিশুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার সকালে শিশু আফরিন আক্তার (৭ ) মারা যায়।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়েছি যে, নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের বাড়ি থেকে কান্না ও চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। এ সময় গুরুতর আহত ছেলে - মেয়েকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার সকালে শিশু আফরিন আক্তার (৭ ) মারা যায়।
হত্যার ঘটনা উদঘাটনে পুলিশের ক্রাইমসিন ইউনিটকে খবর দিলে তারা নিহত মর্জিনা বেগমের স্বামী শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। পরে পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে শহিদুল ইসলাম।