গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল যুবাদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল যুবাদের মধ্যে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের তল্লাপাড়া গ্রামে সেভেন্থ ডে অ্যাডভেন্টিস্ট প্রি সেমিনারি স্কুল প্রাঙ্গণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও আর্টিকেল নাইনটিন এর সহযোগিতায় ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অবলম্বনের আয়োজনে দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শতাধিক সাঁওতাল, ওড়াওসহ বিভিন্ন আদীবাসী সম্প্র্দায়ের যুবারা হাড়িভাঙ্গা, চেয়ারখেলা, জলে ডাঙ্গা, দড়িখেলাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলায় অংশ নেয়।
বিকেলে প্রতিযোগিতা শেষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আদিবাসী নেত্রী মারিয়া মুর্মু’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, অবলম্বন এর নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, নারী নেত্রী নাজমা বেগম, সাজেদা পারভিন, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, গাইবান্ধা সদর উপজেলার আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, অবলম্বন এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এ.কে.এম. মাহবুব আলম মুকুল, রবিদাস ফোরামের নেতা খিলন রবিদাস, মনির হোসেন সুইট, সাঁওতাল শিক্ষক দিপালী কিসকু, রূপসী মার্ডী, রাফায়েল হাঁসদা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কর্মসংস্থান, কর্মসহায়ক পরিবেশ ও সমাজে মর্যাদাবৃদ্ধি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত। সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এর সঙ্গে তাদের সংস্কৃতিও বিলুপ্ত হচ্ছে। এরা বাংলাদেশের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী। অধিকাংশই ভূমিহীন। আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। অবিলম্বে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে হলে আদিবাসী ও তাদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে হবে।