রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রংপুরে শীতে আগুন পোহাতে ‍গিয়ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ৫৫ জন

ছবি সংগৃহীত

রংপুরে অতিরিক্ত ঠান্ডায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন নিম্ন আয়ের অর্ধশতাধিক মানুষ। অনেকই এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন রংপুর মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে। এদিকে আরও কয়েকদিন শীতের তিব্রতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রংপুর নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গরম কাপড়ের অভাবে জবুথবু অবস্থা ছিন্নমূল মানুষের। একটু উষ্ণতার জন্য আগুনের কুন্ডলিই ভরসা নগরের বস্তিগুলোতে বসবাস করা হাজারো মানুষের। তাই খড়কুটো, প্লাস্টিকের স্যান্ডল বা পলিথিন কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে অনেকেই বসেছেন একটু উত্তাপের আশায়।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে আগুনে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৮০ জন মানুষ। যাদের মধ্যে ৫৫ জনই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। তারা সাধ্যমতো দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি রোগীদের আগুনের ব্যাপারে সচেতন করছেন।

আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কয়েকজন রোগী ও স্বজনরা জানান, শীত থেকে বাঁচার জন্য আগুন পোহাতে ও গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়ে দগ্ধ হন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রংপুর নগরের মুন্সিপাড়া এলাকার আলেয়া বেগম। তিনি ১০ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আলেয়ার শরীরের নিচের অংশে প্রায় ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

আলেয়ার স্বজনরা জানান, খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহানোর সময় হঠাৎ শরীরের পিছন থেকে শাড়িতে আগুন ধরে যায়। হাসপাতালের ১২ নম্বর শয্যায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন কুড়িগ্রামের আঞ্জুমান আরা।

বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. শাহ মো. আল মুকিত বলেন, এখানে চিকিৎসাধীন রোগীর দুই তৃতীয়াংশই শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।

চিকিৎসক ফারুক আলম জানান, গত কয়েকদিনে আগুনে পুড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ হাসপাতালে আসছেন। যাদের মধ্যে দু-তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের কারও কারও শরীরের ১০-৪০ শতাংশ আবার কারও ৪০-৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে বেশির ভাগ দগ্ধ রোগী নিজেদের অসাবধানতাবশত দুর্ঘটনার শিকার হন। তাদের সাধ্য মতো চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

রংপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলী জানান, রংপুর অঞ্চলে শীত এলেই প্রতিবছর অগ্নিদগ্ধের ঘটনা বেড়ে যায়, রোগীর চাপ বাড়ে। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এসময়টায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ে।বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হবে। একইসাথে আগুন পোহাতে গিয়ে সাবধান থাকতে হবে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ৫ দিন ধরে এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আশঙ্কা স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের।

রংপুর আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা হিমেল বাতাসের কারণে এই অঞ্চলে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাছাড়া কুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে না পৌঁছায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আগামী এক সপ্তাহ এ আবহাওয়া বিরাজ করবে বলেও কানান তিনি। সরকারিভাবে রংপুরের আট উপজেলায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ চলমান রেখেছে জেলা প্রশাসন।

রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় যেহেতু রংপুরে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হয়। তাই শীত নিবারণে আগে থেকেই প্রস্তুত আছে জেলা প্রশাসন। দুই ধাপে প্রায় ৫৮ হাজার মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এখনও কম্বল বিতরণ চলমান রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!

ছবি: সংগৃহীত

নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্রমাগত দুশ্চিন্তা শরীরের স্ট্রেস-রেসপন্স সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্রনিক স্ট্রেসের জন্ম দেয় এবং এমনকি অকাল মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে সংক্রমণ ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সঙ্গেও এটি সরাসরি সম্পর্কিত।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে কর্টিসলসহ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হজমজনিত সমস্যা, পেশির টান, অনিদ্রা ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

এছাড়া, অনিয়ন্ত্রিত বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ ধূমপান, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ বা মাদকাসক্তির মতো ক্ষতিকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে, যা আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

তবে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানোর জন্য সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলে এ সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মেডিটেশন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পেশাদার সহায়তা নেওয়া এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতে পারে।

সূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ঘটনায় দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার।

তবে পরিপত্র জারির পর থেকেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কি সরকারি ছুটি থাকবে? এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা চলছে।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি থাকবে না। দিবসটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয়ভাবে পালন করা হবে, তবে ছুটি থাকবে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে এটি সরকারি ছুটি ছাড়া জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করা হবে, তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক এই দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি