গাইবান্ধা-২: স্বামী-স্ত্রী দুজনই প্রার্থী, প্রচারণা চলছে একজনের
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ্ সারোয়ার কবির ও মাসুমা আক্তার: সংগৃহীত
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে স্বামী-স্ত্রী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়ছেন। এর মধ্যে স্বামী শাহ সারোয়ার কবীর ট্রাক প্রতীকে এবং তার স্ত্রী মাসুমা আক্তার ঈগল প্রতীকের প্রার্থী। দুজনই পৃথক প্রতীকের প্রার্থী হলেও মাসুমা আক্তার নিজের জন্য ভোট চাইছেন না। স্বামীর হয়ে ট্রাক মার্কায় ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। ঘটনাটি স্থানীয় ভোটারদের মাঝে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শাহ্ সারোয়ার কবির জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। নৌকা প্রতীক চেয়ে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। সদর উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেন।
সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শাহ সারোয়ার কবিরের সঙ্গে ঘুরে নির্বাচনী প্রচারে মাসুমা আক্তারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলসহ ভোটারদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে ভিন্ন মত।
একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ সারোয়ার কবীর বলেন, স্ত্রীর প্রার্থিতার বিষয়টি তেমন কিছু না। আমাকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। এ কারণে দুজনই প্রার্থী হয়েছি। তবে স্ত্রী ভোটের মাঠে তার পক্ষেই কাজ করছেন। প্রচারণা ও গণসংযোগে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছি। এখানে অন্য তি নজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও শেষ পর্যন্ত ট্রাকের জয় হবে।
তিনি জানান, মাসুমা আক্তার ভোটের মাঠে তার পক্ষেই কাজ করছেন। প্রচারণা ও গণসংযোগে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। তার আশা- এই আসনে অন্য তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেও শেষ পর্যন্ত ট্রাকের জয় হবে।
সদর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-২ আসন। মোট ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৬৯ জন ভোটারের এ আসনে এবার মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙল প্রতীকে লড়ছেন সাবেক এমপি আব্দুর রশীদ সরকার।
এছাড়া জাসদের মশাল প্রতীকে গোলাম মারুফ মনা ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকে লড়ছেন জিয়া জামান খান। জোটগত সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ এই আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়। ফলে নৌকা মনোনীত প্রার্থী টানা তিনবারের নির্বাচিত এমপি মাহাবুব আরা বেগম গিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।