রংপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেনের মনোনয়ন বাতিলের ঘোষণায় উত্তেজনা
মনোনয়ন বাতিলের ঘোষণায় উত্তেজনা। ছবি: সংগৃহীত
রংপুরের তিনটি আসনে স্থগিত করা ছয়টি মনোনয়নপত্রে বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। এদিকে সিন্ধান্ত জানানোর সময় নানা নাটকীয় ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা নিয়ে সভা স্থলে তৈরী হয়েছে তুমুল হৈচৈ, হট্টগোল ও উত্তেজনা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রিটানিং অফিসারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরেও বিক্ষোভ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা অভিযোগ, রংপুরের ১, ৩, ৫ ও ৬ আসনে ছয়টি মনোনয়নপত্রে বিভিন্ন ক্রটির কারণে স্থগিত করা ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার মোবাশ্বের হাসান। সোমবার ছিল স্থগিত থাকা ছয়টি মনোনয়নপত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা।
রংপুর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার মনোনয়ন পত্রসহ ছয়টি স্থগিত করে রাখা মনোনয়নপত্র সম্পর্কে ঘোষণা দিন ধার্য করা হয়। তবুও সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রিটানিং অফিসার অফিসে আসেননি। স্থগিত হওয়া প্রার্থীরা দিনভর ঘোরাঘুরি করে তার সাক্ষাৎ পায়নি। পরে বিকেল ৪টা ২মিনিটে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রিটানিং অফিসার এসে স্থগিত থাকা মনোনায়ন পত্রগুলোর মধ্যে একটি বাতিল ও পাঁচটি বৈধ ঘোষণা করে দ্রুত চলে যান। কিন্তু তিনি কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো।
তিনি আরও বলেন, কেন হলো তা না জানিয়ে দ্রুত তার চেম্বারে চলে গেলে প্রার্থী ও তাদের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীরা জেলা প্রশাসকের চেম্বারের সামনে গিয়ে পুরো বিষয় জানতে চান। এ সময় অর্ধশতাধিক প্রিন্ট ইলেক্টনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা রিটানিং অফিসারের বক্তব্য নেবার জন্য তার চেম্বারের সামনে গেলে তিনি তার চেম্বারে না বসে তার এক ম্যাজিস্ট্রেটের চেম্বারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ কয়েকজন দীর্ঘক্ষণ দরজা বন্ধ আলোচনা করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর রিটানিং অফিসার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আবারো সম্মেলন কক্ষে এসে জানান ছয়টি আসনে ৪৯টি দাখিল করা মনোনয়নপত্রের মধ্যে নয়টি আগেই বাতিল করা হয়েছে। আজ শুধু রংপুর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকারের দাখিল করা কাগজপত্রে তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো বলে ঘোষণা দেন। এ সময় সভা স্থলে তুমুল হৈচৈ ও হট্টগোল আর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
জাকির হোসেন আরও বলেন, তিনি কোনো তথ্য গোপন করেননি। তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তার মনোনয়নপত্র বৈধ করার আহ্বান জানান। এ সময় সভাস্থলে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে রিটানিং অফিসার জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেনকে সাথে নিয়ে তার চেম্বারে প্রায় দেড় ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে তাকে আপিল করার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে গনমাধ্যম কর্মীরা সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে রিটানিং অফিসার জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসানের বক্তব্য জানানোর জন্য অপেক্ষা করার কথা বলেন। একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।