রংপুরে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত
রংপুরে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশন।
সোমবার (২৯ মে) সকালে জিলা স্কুল মাঠ থেকে সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘পিস কিপার রান’ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ক্যান্টপাবলিক স্কুল অডিটরিয়াম প্রাঙ্গণে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও রংপুর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা, র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম প্রমুখ। পরে ক্যান্টপাবলিক স্কুল অডিটরিয়াম মিলনায়তনে শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির স্ব-পক্ষে অবদানের জন্য তাকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ দেওয়া হয়। এ পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর হওয়ায় এ বছরের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সেনাসদস্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে জাতিসংঘের অধীনে ১৪টি দেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর ৭ হাজার ৪৩৬ জন সদস্য শান্তি রক্ষার কাজ করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৫৭২ জন নারী সদস্যও রয়েছেন। শান্তিরক্ষার এ সুমহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর ১৪৪ জন ও পুলিশ বাহিনীর ২৩ জন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর ২৪৭ জন ও পুলিশ বাহিনীর ১২ জন সদস্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
এসজি