শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নদীবন্দি দেড়শ পরিবার, নেই রাস্তা-ব্রিজ

আঁকাবাঁকা নদীর তীরে 'দ্বীপ' হিসেবে পরিচিত 'মহিষবান্দী পুর্বপাড়া'। এখানে প্রায় দেড়শ পরিবারের বসবাস। ভাঙনের থাবায় বাড়িগুলোর চারপাশে বয়ে গেছে নদী। যার ফলে নদীবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষেরা। তাদের চলাচলের নেই কোন রাস্তা। পারাপারের জন্য আছে একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো আর অন্যের কৃষি জমির আইল দিয়ে চলাফেরা করতে হয় মানুষদের। এতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তারা।

সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মহিষবান্দী পুর্বপাড়া (দ্বীপ) এলাকায় দেখা যায়, মানুষের সীমাহীন ভোগান্তির চিত্র। এই স্থানের ঘাঘটের ওপর ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে শিশু-শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সের মানুষেরা। ওপারে পৌঁছে নেই কোন রাস্তা। বাধ্য হয়ে কৃষকের জমির আইল দিয়ে হেঁটে ওঠতে হয় মূল সড়কে।

স্থানীয়রা যায়, ওইস্থানে কয়েক যুগ ধরে শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছেন। এখানকার সবগুলো পরিবার দরিদ্র সীমার নিচে জীবনযাপন। সেই থেকে অন্যের জমির আইল দিয়ে প্রায় ৬০০ মিটার হেঁটে প্রধান সড়কে পৌঁছাতে হয়। তৎকালীন বাড়িগুলোর তিন পাশে নদী থাকলেও উত্তর পাশে ছিলো না কোন নদী।

এরই মধ্যে বছর দুয়েক আগে অব্যাহত ভাঙনে এখন বসতভিটার চারপাশে বয়ে গেছে নদীটি। একপর্যায়ে উত্তর পাশে বিশাল খালে পরিণত হয়েছে। যার কারণে নদীবন্দি হয়ে পড়েছে দ্বীপের মানুষেরা। সময়ের ব্যবধানে সমাজ উন্নয়ন তথা দেশের পরিবর্তন ঘটলেও আজও উন্নয়নে পরিবর্তন হয়নি এই দ্বীপের করুণ অবস্থা। জনপ্রতিনিধিদেরও নজরে আসেনি ওইস্থানে রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বর্ষা মৌসুম এলেই নদীর পানি কানায় কানায় ভরে গেলে বেড়ে যায় আরও দুর্গতি। এছাড়াও হঠাৎ কোন রোগী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার জীবন নির্ভর করে সময়ের উপর। একটু দেরি হলেই রোগীর জীবন অসহ্য যন্ত্রণাসহ ওখানেই মৃত্যুর প্রহর গুণতে হয়।

এছাড়া শিক্ষার আলো থেকে ঝড়ে পড়ছে সন্তানেরা। এমনভাবে রাস্তা-ব্রিজের অভাবে কয়েক বছর ধরে লেগে আছে মানুষের চরম ভোগান্তি। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি এই স্থানে রাস্তা নির্মাণসহ খালের ওপরে ব্রিজ নির্মাণ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি বাস্তবায়ন হলে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করাসহ শিক্ষিত হতে পারবে সন্তানেরা।

স্থানীয় ব্যক্তি ফুল মিয়া বলেন, নিত্যদিন প্রয়োজনীয় কাজে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে করে সময় নষ্টসহ ঝূঁকিতে থাকতে হয় জীবনের ভয়ে। এখানে একটি রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের জন্য দাবি করছি।

হাফিজার রহমান নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, আমি পেশায় ভ্যানচালক। আমাদের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা ও ব্রিজ না থাকায় ভ্যানটি অন্যের বাড়িতে রাখতে হয়। রাতের বেলায় সেখান থেকে কৃষকের মাঠ হেঁটে বাড়িতে ঢুকতে হয়। সেই সঙ্গে রাস্তা ও ব্রিজ না থাকায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে করাতে কঠিন বেগ পেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি)চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করেননি। একই এলাকার বাসিন্দা রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্যার স্বামী আমিনুল ইসলাম জানান, মহিষবান্দী পুর্বপাড়া গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এখানে রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ অত্যান্ত জরুরি।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুশফিক উস সালেহীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার নানা দিক।

বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

দুই দেশ চট্টগ্রাম-করাচি রুটে সরাসরি নৌ চলাচল চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রশংসা করে উভয়পক্ষ।

বৈঠকে শিক্ষাখাতে গভীর সহযোগিতা ও পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়।

সার্ক বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয় যে, আঞ্চলিক এই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং তা যেন রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে থাকে।

বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় দুই দেশ। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি