গোবিন্দগঞ্জে চলছে নম্বর বিহীন ১০ চাকার ৪০ ডাম্প ট্রাক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের সামনেই অবৈধ ভাবে চলছে নম্বর বিহীন ১০ চাকার ৪০টি ডাম্পার ট্রাক। অজ্ঞাত কারণে পুলিশের সামনেই এই ট্রাকগুলি চলাচল করলেও কোন আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ থানা, হাইওয়ে থানা পুলিশ এবং ট্রফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা ধরণের অভিযোগ উঠেছে।
একাধিক স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে প্রায় ২ বছর ধরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে নম্বর বিহীন ১০ চাকার ৪০টি ট্রাক একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গোবিন্দগঞ্জে আনা হয়। পরে এই সিন্ডিকেট গোবিন্দগঞ্জ থানা, হাইওয়ে থানা ও ট্রাফিক পুলিশ সঙ্গে গোপন আলোচনা করে উপজেলা ৭০টি পয়েন্ট থেকে দিন-রাত বালু বিভিন্ন ফসলি জমির মাটি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছে। এই ট্রাকগুলির বেপরোয়া চলাচল স্থানীয়দের দুভোর্গ ও দুর্ঘটনার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাইলোড করে বালু পরিবহণের সময় মাটি বালু পড়ে মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও গ্রামীণ সড়কে চলাচলের করে রাস্তাঘাট ব্রীজ কার্লভাট যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি সড়কের পাশে বসবাসকারী ও সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের চোখে মুখে ও বাড়ীতে বালু ঢুকে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্থানীয়রা আক্রান্ত হচ্ছেন শ্বাস কষ্ট সহ নানা ধরণের অসুখে। আর বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রাণহানী ও পঙ্গুত্বে বরণ করেছে অনেকেই। বার বার অভিযোগ করেও অজ্ঞাত কারণে অবৈধ এই যানবাহনগুলি চলাচল বন্ধে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন কোন ভুমিকা রাখছে না।
এরমধ্যেই গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় থানা মোড়ে মিলন নামের এক ফল ব্যবসায়ি বাড়ী যাওয়ার সময় বেপরোয়া ড্রামট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়। ক্ষুব্ধ জনতা ড্রামট্রাক চলাচলের প্রতিবাদে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও নম্বর বিহীন অবৈধ ড্রামট্রাক চলাচল করছে।
এ ছাড়াও উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই ড্রামট্রাক গুলি চলাচলের ব্যাপারে নানা ধরণের ক্ষতির বিষয় আলোচনা হলে কমিটির প্রধান উপদেষ্ঠা গাইবান্ধা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এই নম্বর বিহিন ও গ্রামীণ সড়কে চলাচলকারী ড্রামট্রাক বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য গোবিন্দগঞ্জ থানা হাইওয়ে থানা এবং ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশ দেন। তারপরেও অবৈধ এই যানবাহন চলাচল অব্যহত থাকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
গোবিন্দগঞ্জে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর চন্দন রায় বলেন তার কাছে এ ব্যাপারে আইন শৃংখলা কমিটির কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনজার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নম্বর বিহীন দেখে ডাম্পার গুলি আটক করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে মালিক পক্ষ কাগজ পত্র দেখিয়ে গাড়ী নিয়ে যায়।
ট্রাকে নম্বর প্লেট লাগানোর আশ্বাস দেয়ায় গাড়ী গুলি ছেড়ে দিয়েছি। গ্রামীণ সড়কে ডাম্পার ট্রাক বন্ধ করার দায়িত্ব গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের আমাদের না। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার আলী বলেন, ইউএনও ছুটিতে রয়েছেন গোবিন্দগঞ্জে এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএজেড