পুকুর ভরাট-অবকাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ হাইকোর্টের আদেশ
রংপুর ফায়ার সার্ভিস অফিস কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী মন্থনা পুকুর ভরাট এবং অবকাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ করে হাইকোর্ট আদেশ প্রদান করেছে। ঐতিহ্যবাহী মন্থনা পুকুর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য এডভোকেট পলাশ কান্তি নাগের রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মিসেস কাশেফা হোসাইন এবং বিচারপতি মিসেস কাজী জিনাত এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন। রীট আবেদন শুনানী অন্তে ঐতিহ্যবাহী মন্থনা পুকুরে রংপুর ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক নির্মিত কনস্ট্রাকশন অপসারণের নির্মিত্তে এই আদেশ প্রদান করেন।
মহামান্য হাইকোর্টের প্রদত্ত আদেশে অত্র মামলার ৭ নং বিবাদী বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর মহাপরিচালককে রায়ের কপি প্রাপ্ত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মন্থনা পুকুরে নির্মিত কনস্ট্রাকশন ও পিলার অপসারণের আদেশ দেন। একই সঙ্গে অত্র মামলার ৪ নং বিবাদী রংপুরের জেলা প্রশাসককে এই আদেশ কার্যকর করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট 'কেন ঐতিহ্যবাহী মন্থনা জমিদারের পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ কাজ অবৈধ নয়' মর্মে হাইকোর্টে রীট আবেদনটি দায়ের করা হয়। ঐতিহ্যবাহী মন্থনা পুকুর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য এডভোকেট পলাশ কান্তি নাগের রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকসহ ১০ দপ্তরের প্রধানকে কারণ দর্শানোর জন্য রুল জারি করেন। পাশাপাশি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
সর্বশেষ এই রায়ের মধ্য দিয়ে রংপুরবাসী চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলো। ঐতিহ্যবাহী মন্থনা পুকুর রক্ষায় হাইকোর্টের রায়ে রংপুরের সর্বমহল সন্তোষ প্রকাশ করেছে। পুকুরটি রক্ষায় রংপুরের প্রগতিশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ, সংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। তৎকালীন সময়ে সর্বমহলের আপত্তি ও প্রতিবাদ উপেক্ষা করে রংপুর ফায়ার সার্ভিস অফিস মার্কেট নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে রীট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
এএজেড