৮.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। আর এই জেলায় হিমেল হাওয়া ও কনেকনে ঠাণ্ডার মাঝে বইছে টানা চার দিনের মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে। সবচেয়ে চরম বিপাকে পড়েছে কমলমতি শিশু ও বয়স্করা। আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই অবস্থা আরো বেশ কিছুদিন বিরাজ করবে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। জেলায় টানা ৪ দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।
এদিকে শীতের তীব্রতার ফলে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে শীতে ভুগছে দরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষেরা। অন্যদিকে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে টানা কয়েক দিন থেকে মিলছে না সূর্যের দেখা।
কুরুষাফেরুষা এলাকার দিনমজুর আবুল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৪-৫ দিন থেকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। তার পরেও জীবিকার তাগিদে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকার পরেও কাজে বেড়িয়েছি বাহে। কাজ না করলে সংসার চলবে কিভাবে। অনেক মানুষ কম্বল পাইছে আমরা এখনো পাইনি। একই কথা জানালেন কৃষক আক্কাস আলী ও হাক্কু মিয়া।’
বালারহাট এলাকার ভ্যানচালক মকছেদ আলী ও বাবলু চন্দ্র রায় বলেন, ‘এমন ঠাণ্ডা বাপের জন্মেও দেখিনি। ৩-৪ দিন থেকে ক্ষ্যাপ মারতে পারছি না। অনেক কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি। কেউ একটা কম্বলও দেয়নি বাহে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, এই উপজেলার ৬ ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত গরীব অসহায় মানুষের মাছে ৪ হাজার ১০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৪ হাজার কম্বলের বরাদ্দ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েই চলছে। বিশেষ করে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ অনেক বেশি। তারপরও গুরুত্বসহ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তিনি শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন।
জেলায় আরও বেশ কিছুদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করবে বলে জানান আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা তুহিন মিয়া।
এসআইএইচ