কুড়িগ্রাম ঠাণ্ডায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৬
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। বেলা বাড়লেও মিলছে না সূর্যের দেখা। এ অবস্থায় বেড়েছে কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রা। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। রেহাই পাচ্ছে না পশু-পাখিরাও। তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবিদের। অন্যদিকে তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের মানুষজন।
জেলা সদর চর-যাত্রাপুর এলাকার ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কনকনে ঠাণ্ডায় বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। তারপরও বের হলাম। কাজ না করলে সংসার চলবে না। শীতবস্ত্র নাই। খুব কষ্টে আছি বাহে।’
ফুলবাড়ী উপজেলার গোরকমন্ডল এলাকার জেলে তপন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আজ প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাহে। তার পরেও জীবিকার তাগিদে বাহির হয়েছি। যতই ঠাণ্ডা হোক না কেন আমাদের বাহির হতে হয়। বাহির না হলে যে সংসার চলবে না।’
এদিকে কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগ। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট বেডের বিপরীতে দ্বিগুণেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্হিবিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েই চলছে। বিশেষ করে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ অনেক বেশি। তারপরও গুরুত্বসহ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, রবিবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রা বিরাজ করায় জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
তিনি আরও জানান, এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রংপুর অঞ্চলে আরও বেশ কিছু দিন থাকবে।
এসআইএইচ