শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে অগ্নিদগ্ধ ৫
রংপুরে তীব্র শীত থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উষ্ণতা নিতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৫ নারী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একজনকে বার্ন ইউনিটে এবং বাকি চার জনকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কারও কারও শরীরের ৭০-৮০ শতাংশ, কারও আবার ৪০-৫০ শতাংশ আগুনে ঝলসে গেছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ চিকিৎসাধীনরা হলেন, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর ফাতেমা বেগম (৬০), একই জেলার ফুলবাড়ির আয়েশা (৬৫), লালমনিরহাটের আদিতমারির সফুরা বেগম (৫০) এবং দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার বুললি আক্তার (৩০)। এছাড়াও বার্ন ইউনিটে নীলফামারীর রহিমা বেগম (৬২) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ হামিদ পলাশ বলেন, চিকিৎসাধীন বেশির ভাগ রোগীই শীতের তীব্রতা থেকে উষ্ণতা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন। প্রতি শীত মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিদগ্ধের এমন ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বার্ন ইউনিটসহ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে ৩৪ জন ভর্তি হয়েছিল। বর্তমানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোট ২৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী। ডিসেম্বরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আফরোজা (৩৭) ও পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নছিমন বেওয়া (৬৮) নামে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে ৫ জনকে এবং চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১৭ জনকে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার সকাল ৬টায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শুক্রবার এ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর বিভাগের সৈয়দপুর, তেঁতুলিয়া,দিনাজপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।
এএজেড