বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আবারও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু
চীনসহ বিভিন্ন দেশে নতুন করে ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ এর সংক্রমণের ঘটনায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আবারও শুরু হয়েছে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় হেলথ স্ক্যানিং বুথের মাধ্যমে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আসা যাত্রীদের করোনার টেস্ট কার্যক্রম শুরু করা হয়। বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকাল পর্যন্ত ৬৭ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হলেও কাউকে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়নি।
ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সূত্র জানায়, ওমিক্রন বিএফ-৭ এর কারণে বেশ কয়েকটি দেশে এর সংক্রমণ ঘটেছে। প্রতিবেশী দেশে এ ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের মতো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই চেকপোস্ট দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যের পাশিপাশি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থাকার কারণে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও সহকারি চালকদেরও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। তবে সন্দেহজনক রোগী শনাক্ত হলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখাসহ নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইসিডিডিআরে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারী শাহিনুর রহমান শাকিল বলেন, করোনার নতুন ধরণ টেস্টের প্রথম দিনে ৪৭ জন যাত্রীর র্যাপিড অ্যান্টিজেন করোনা টেস্ট করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২০ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এদের মধ্যে কাউকে করোনার পজিটিভ পাওয়া যায়নি। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কার্যক্রম চালু থাকবে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুল হাসান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোর মতো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরেও বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থলবন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ সনাক্ত করতে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আসা যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।
এসআইএইচ