রসিক নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা মামলায় কাউন্সিলর হারা রিমান্ডে
রংপুর সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনের দিন (২৭ ডিসেম্বর ২২) রাতে ফলাফল দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা পরবর্তী সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে স্কট দেওয়া বর্ডারগার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবির গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ও নব নির্বাচিত কাউন্সিলর হারাধন রায় হারাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে রংপুরের চিপজুডিশিয়াল আদালত।
সোমবার বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক সালেহ আহমেদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠান হারাধন রায় হারার জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানী শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসেন ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সালেহ আহমদ জানান, ২৭ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এসময় কেন্দ্রের সামনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ির স্কটের দায়িত্বে থাকা বিজিবির একটি গাড়িতে প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
এ ঘটনায় ২০০ থেকে আড়াইশ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানায় একটি মামলা করেন বিজিবির এক সদস্য। মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার রাতেই নির্বাচন কমিশন ঘোষিত কাউন্সিলর প্রার্থী হারাধান রায় হারাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন ছিল। সে কারণে আমরা রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম তার জন্য। আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিদ্ধান্ত নিবো আবার রিমান্ডের আবেদন করবো কিনা।
এএজেড