রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটির বিশাল মিছিল
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটির বিশাল মিছিল নিয়ে হাজারো নেতাকর্মী নগরীর ডিসির মোড় এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। গত সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর ফল বিপর্যয় এবং জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ায় সারা দেশে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়।গতকাল রবিবার রাতে রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। দলের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শোডাউন করেছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সোমবার দুপুরে নগরীর বেতপট্টিতে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে হাজারো নেতাকর্মী নগরীর ডিসির মোড় এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নবগঠিত মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক প্রবীণ নেতা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেমসহ এ সময় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ড এবং ছয়টি মেট্রোপলিটন থানার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে যাদের এতদিন মূল্যায়ন করা হয়নি এমন নেতাকর্মীরা সমবেত হতে থাকেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত আহ্বায়ক ডাঃদেলোয়ার হোসেন বলেন,সিটিকর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে ভরাডুবি হয়েছে, তা আমাদের জন্য চরম লজ্জার। এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে আওয়ামী লীগের আগের সুনাম ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবো। এটাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। দলে কোন হাইব্রিড বা বড় ভাইয়ের লোক নয়।দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের স্থান দিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগকে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্গঠন করে আওয়ামী লীগের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবো। দলে নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে তাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে দলকে গতিশীল করার জন্য কাজ করা হবে।
রবিবার রাতে নতুন কমিটি ঘোষণার পর শত- শত নেতাকর্মী নগরীর বেতপট্টিতে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভিড় করতে থাকেন। গভীর রাত পর্যন্ত চলে মিষ্টি বিতরণ আর নয়া নেতাদের বরণ করে নেয়ার পালা। সকাল থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লা থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। আসেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক (সাবেক ছাত্রলীগ নেতা)। মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী, মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এএজেড