কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম। সেইসঙ্গে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে গিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরম বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ও ১২ ডিগ্রির মধ্যে থাকলেও আজ সোমবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
টানা কয়েক দিন এ অঞ্চলে গভীর রাত থেকে বৃষ্টির মতো গুঁড়িগুঁড়ি কুয়াশা পড়ছে। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও কাহিল হয়ে পড়েছে হাঁড়-কাঁপানো শীতে। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন শিশু ও বয়স্করা। এ দিকে হাঁড়-কাঁপানো ঠান্ডায় খড়-কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষজন। ঘনকুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা ও আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাহীনুর রহমান সরদার জানান, শীতজনিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গতকাল রবিবার ও সোমবার সকাল পর্যন্ত ইনডোরে ৩৩৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া শিশু ও ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ৮২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, সোমবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।
এসএন