দুই বিঘা জমি জুড়ে শতবর্ষ পুরোনো বটবৃক্ষ
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলাটি ছোট যমুনা নদীর কোল ঘেষে গড়ে ওঠা একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা নিজস্ব সাংস্কৃতি ও প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক উদ্দেশিত বিরামপুর উপজেলা। উপজেলার ৭নম্বর পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বিরামপুর-ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে বারিন্দ্রনাথ সরকারের জমিতে একটি বট গাছ তার আবরণ ছাড়িয়ে ২ বিঘা জুড়ে।
এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে পুরনো বটবৃক্ষ। লোকমুখে শোনা যায় এই গাছটির বয়স শতবছর পেরিয়েছে। বটবৃক্ষটি দুই বিঘা জমিজুড়ে ডানা মেলেছে। দুর্গাপুর গ্রামের নিবাসী মঙ্গল সরেন (৯৫) বলেন, আমি ছোট থেকে দেখছি গাছটিকে এবং গাছটি ধীরে ধীরে তার শাখা প্রশাখা চতুরপাশে তার কলবর বাড়িয়ে চলেছে। এই গাছটির আমাদের এলাকার একটি সম্পদ। গাছটিকে দেখার জন্য অনেক দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে। আমরা এখানে পূর্জা অর্চনা করি।
প্রভাষক কালী প্রসন্য সরকার বলেন, ছোট বেলায় আমি শুনেছি যে, আমার ঠাকুর দাদারা এই গাছটি রোপণ করেছে। পারিবারিক জায়গা জমি বণ্টনের পর এই প্রাচীন বটবৃক্ষটি আমার বাবা বারীন্দ্রনাথ সরকারের অংশে পড়ে। সেই সুত্রে জমি এবং বটবৃক্ষটির উত্তরাধিকার আমি এবং আমার পরিবার। আমিও লোকমুখে শুনেছি আমার পরিবারের তিন প্রজন্ম কাছে গাছটির বয়স শত বছর প্রেরিয়েছে।
পরবর্তীতে গাছটির উত্তর অংশে একটি স্বারদীয় দুর্গামন্দির স্থাপন করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূর্জা-অর্চনার পাশাপাশি এখানে একটি মেলা বসে। দূরদূরান্ত থেকে অনেক পথিক গাছটি দেখেন এবং বিশ্রাম নেন। গাছটির চারপাশে তার ডানা মেলে ধরেছে জায়গাটি বেশ শিতল। গত বছর দিনাজপুর জেলার এডিসি (রাজস্ব) প্রাচীনতম বৃক্ষটি পরিদর্শনে আসেন। তিনি দিনাজপুর জেলা বার্তায়নে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন, এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে পুরনো বটবৃক্ষ। গাছটির বয়স ১০০ শত বছর পেরিয়েছে। বটটি গাছ তার আবরণ ২বিঘা জমি জুড়ে ছাড়িয়েছে। গাছটিকে দেখার জন্য অনেক দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই আসে এবং এখানে পূর্জা অর্চনা হয়। গাছটি তার চারিপার্শ্বে ডানা এমনভাবে মেলে ধরাই জায়গাটি বেশ শীতল। গাছটি এলাকার সম্পদ।
এএজেড