চরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা 'নৌকা'
বার মাসে তেরো ফসল হলেও ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারেন না গাইবান্ধার চরাঞ্চলের কৃষকরা। প্রায় সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা। এর প্রধান কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই চরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌকা।
তবে নাগরিক সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকারি উদ্যোগে 'আমার গ্রাম ও আমার শহর' প্রকল্পে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন।
ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনার ভাঙনের কবলে পড়ে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় ১৬৫টি চর। এসব চরে প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস। তাদের একমাত্র প্রধান পেশা কৃষি। কৃষির উপর নির্ভর করেই তারা খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকেন।
গাইবান্ধার চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা এত খারাপ যে সব কিছুর জন্য নৌকার উপর নির্ভর করতে হয় চরাঞ্চলের মানুষদের। কোনো কৃষি পণ্য বিক্রি করতে হলেও নৌকায় করে নিয়ে যেতে হয় হাট-বাজারে। তাতে করে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না তারা।
চরবাসীরা জানায়, বন্যার সময় সব কিছু তলিয়ে গেলেও খড়ায় নদী শুকিয়ে নৌকা ঘাট দুই থেকে তিন মাইল দূরে চলে যায়। তখন কৃষি পণ্য মাথায় নিয়ে পায়ে হেঁটে হয় ঘাটে। কোনো যানবাহন না থাকায় দুর্ভোগ চরমে। এ ছাড়া যদি কোনো মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে তার চিকিৎসার জন্য পড়তে হয় চরম বিপাকে।
ফুলছড়ি উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বলেন, 'আমার গ্রাম আমার শহর' নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। যদি এই উদ্যোগ গাইবান্ধার এই চরগুলোতে নেওয়া হয় তাহলে চরের মানুষ উৎপাদিত ফসল সহজেই বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পাবে ও প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য সেবায় স্পিডবোটের ব্যবস্থা থাকলে উপকৃত হবেন চরবাসীরা।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, সরকারি উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে 'আমার গ্রাম, আমার শহর' প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে সব নাগরিক সুবিধা পাবেন।
এসজি