হিলিতে তিনদিনের ব্যবধানে বেগুন ও মুলার দাম দ্বিগুণ
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে ৩ দিনের ব্যবধানে বেগুন ও মুলার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ৩ দিন আগে প্রতি কেজি বেগুন ও মুলা ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বর্তমানে তা বেড়ে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হিলি বাজারে এ চিত্র দেখা যায়।
হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা ইয়াকুব আলী বলেন, বাজারে আবারও সবজির দামে আগুন লেগেছে। সেই আগুনে পুড়ে আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি। যে বেগুন ও মুলা ৩ দিন আগে কিনলাম ৩০ টাকা কেজি দরে, সেই মুলা এখন ৬০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। বৃষ্টির অজুহাতে ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বাড়িয়েছেন। অথচ সব দোকানেই বেগুন ও মুলাসহ সব ধরনের সবজির ভালো সররবাহ রয়েছে। কিন্তু এরপরেও দাম বাড়তি। এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া কিছুই নয়। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যবস্থা নিবে এই দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এভাবে যদি সবজির দাম বাড়ে তাহলে আমাদের মতো গরিব, যারা কিনা ভর্তা ভাত খেয়ে জীবনযাপন করত তাদের চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। রাত পোহালেই জিনিসের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেভাবে তো আয় বাড়ছে না আমাদের। নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় দিয়েই আমাদের চলতে হচ্ছে। তাই বাড়তি মূল্যের ব্যয়ভার মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ক্রেতা মিনা আনছারি বলেন, বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি। এখন যে দাম তাতে চাহিদা থাকলেও কিনতে পারছি না। পরিবারের সদস্য বেশি হওয়ায় যেখানে এক কেজি লাগবে সেখানে বাড়তি দামের কারণে হাফ কেজি কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এই পরিমাণে তো আমাদের চলে না। তারপরেও বাধ্য হয়ে কষ্ট করে এভাবেই চলতে হচ্ছে। আমাদের তো কিছুই করার নেই।
সবজি বিক্রেতা ফেরদৌস রহমান বলেন, আমরা সাধারণত পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ি, বিরামপুর বা পাঁচবিবি অঞ্চল থেকে সবজি কিনে এনে হিলি বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু নিম্নচাপের কারণে গত কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষেতে পানি ঢুকে সবজির গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে সবজির উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে মুলা ও বেগুনের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে। বর্তমানে ৫২-৫৫ টাকা কেজি পাইকারি দরে মোকামে কিনতে হচ্ছে বেগুন ও মুলা। যা আমরা খরচ মিলিয়ে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে। আবহাওয়া ভালো হলে সবজির উৎপাদন বাড়লে সরবরাহ যেমন বাড়বে তেমনি দাম কমে আসবে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের জরিমানাও করা হবে।
এসজি