মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় লক্ষীরহাট নুর আলা দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন ওই মাদ্রাসার অফিস সহকারী আল আমিন।
জানা যায়, ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে আল আমিন ওই মাদ্রাসার অফিস সহকারী পদে যোগদান করেন। নিয়োগের জন্য মাদ্রাসা সুপার আবু তালেব ৫ লাখ টাকা দাবি করলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের উপস্থিতিতে ৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি অফিস সহকারী পদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চলতি বছরের ৬ জুলাই মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। এরপর সুপার আবু তালেব তার ছোট ভাই ইমরান আলীকে অফিস সহকারী পদে আল আমিনের পরিবর্তে আগের নিয়োগ দেখিয়ে বিলের জন্য নথি জমা দেন।
ভুক্তোভুগী আল আমিন বলেন, স্বজন-প্রীতি আর অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে সুপার আবু তালেব এখন নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেছেন। ২০ বছর বিনা বেতনে পরিশ্রম করলাম। সরকার যখন আমাদের অসহায়ত্বের কথা ভেবে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত করল, তখন সুপার নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্য শুরু করে দিলেন। আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আল আমিনের নিয়োগ হয়েছে। জানা মতে মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য আল আমিনের কাছে সুপার টাকা নিয়েছেন। এ-ও শুনেছি, সুপার তার ভাই ইমরান আলীর নামে বিল পাঠিয়েছেন। তবে আল আমিন যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রাসায় রয়েছেন, তিনি বিলের অধিকার রাখেন।
ওই মাদ্রাসার সুপার আবু তালেব টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আল আমিনের সঙ্গে তিনি বসবেন এবং তার অভিযোগের বিষয়টি সুরাহা করবেন।
মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আবু বক্কর মাস্টার জানান, তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে আল আমিনের নিয়োগ অনেক আগেই হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন বলেন, অফিস সহকারী আল আমিন একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএন