সাংবাদিকের ওপর হামলায় চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের নামে মামলা
কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে তথ্য সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার ১৯ দিন পর রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৮ সদস্যের নামে মামলা নিয়েছে পুলিশ। বুধবার রাতে হামলার শিকার সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন। এর আগে ঘটনার দিন (২৭ আগস্ট) ওই সাংবাদিক বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ।
জানা গেছে, (২৭ আগস্ট) শনিবার দুপুরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় দশ টাকা কেজি দরে চালের সুবিধাভোগিদের অনলাইন ডাটাবেজ শুরু হয়। ডাটাবেজ তৈরিতে কোনো টাকা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও রাজীবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস ও সদস্যরা মিলে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে জোর করে জনপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা আদায় করেন। এ টাকা দিতে না চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াসসহ সদস্যদের সঙ্গে সুবিধাভোগিদের হট্টগোল বাধে।
এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, সহিজল ইসলাম, মুরাদুল ইসলাম মুরাদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করছিলেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। এসময় অতর্কিতভাবে ওই সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সদস্যরা। এতে গুরুতর আহন হন ওই সাংবাদিক।
ছিনিয়ে নেওয়া হয় সাংদিকের মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং পকেটে থাকা আট হাজার ৩০০ টাকা। পরে সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। এঘটনায় ওই দিন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে রাজীবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
রাজীবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহিজর ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও মামলা না নিয়ে মিমাংসার কথা বলে কালক্ষেপণ করেন রাজীবপুর থানা পুলিশ। তবে ঘটনার ১৯ দিন পর বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা রুজু করেন রাজীবপুর থানার ওসি।
সাংবাদিকের ওপর হামলাকারিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান হামলার শিকার ওই সাংবাদিকসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে কী-না এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড