রমেক হাসপাতালে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ড
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমআরআই, আল্ট্রাসনো গ্রাম ও ইসিজি কক্ষে রহস্য জনক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। মেডিকেল হাসপাতালের কর্মচারীদের দাবি, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছানোর আগেই তারা নিজেরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মেডিলে কলেজ হাসপাতালের নিচতলার এমআরআই, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম, কক্ষে আকস্মিক আগুন লাগে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
রংপুর ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের নিচতলার এমআরআই, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষ থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখেন মেডিকেলের কর্মচারীরা। আগুন ছড়িয়েছে সন্দেহে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। এ অবস্থায় কয়েকজন কর্মচারী কক্ষের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিদ্যুতের সার্কিটের সুইচ বন্ধ করে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সেখানে এসে আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এই অগ্নিকাণ্ডে কি পরিমানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ খবর লেখা পর্যন্ত নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারী ও রোগীর স্বজনরা বলেন, এমআরআই, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম, কক্ষে হঠাৎ করে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখে তারা আতঙ্কিত হয়েপড়েন। হাসপাতালের এমআরআই, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম, কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোনো কিছু আছে কি না সঠিক তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উৎঘাটনের দাবি করেছেন তারা।
মেডিকেলের নীচ তলার লিফটম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে হঠাৎ করে এমআরআই কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখি। এটা দেখে অনেকেই ছুটোছুটি শুরু করেন। আমরা কয়েক জনওই কক্ষের দরজায় থাকা তালাটি হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেই আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসার সদস্য সেলিম জানান, আমি গেটের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলাম। হঠাৎ দেখি লোকজন ভয়ে ছোটাছুটি করছে। জানতে পারি এমআরআই কক্ষে আগুন লেগেছে। আমি সেখান থেকে দৌঁড় দিয়ে ভেতরে এসে দেখি, ধোঁয়ায় চারপাশ অন্ধকার। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রটি নিয়ে কক্ষের ভেতরে ঢুকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। তখন পর্যন্ত আগুনের সূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এতবেশি ধোঁয়া সেখানে ছড়িয়ে পরেছিল। এমআরআইসহ আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি কক্ষে একাধারে যতগুলো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র হাতের কাছে পেয়েছি তা দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালয়েছি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, ভবনটি অনেক পুরোনো এবং বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে আমরা প্রথমিক ধারণা করছি।
এএজেড