ফেসবুকে স্ট্যাটাস,ফোন পেয়ে নারীর জীবন বাঁচাল পুলিশ
গভীর রাতে ঘুমের ওষুধ হাতে নিজেকে শেষ করবেন মর্মে স্ট্যাটাস দেন এক নারী। এরপরে ওই ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান, ফোন কল পেয়েই মাঝরাতেই ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শহরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে আশরাফুল আলম নামে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান-এক নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে শেষ করবেন বলে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাকে আপনারা উদ্ধার করেন। তার দেওয়া তথ্য অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের হিঙ্গণরায় মিস্ত্রীপাড়া থেকে জাকিয়া ফেরদৌসী (২৭) নামে ওই নারী নিজ আইডি থেকে ওই স্ট্যাটাস দেন। সেখানে লেখেন ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার পরিবার আমার জীবনটা পুরো শেষ করে দিছে। তারাই দায়ী আমার মৃত্যুর জন্য।’ পোস্টটি দিয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরে কুড়িগ্রাম সদর থানার রাত্রিকালীন ডিউটি অফিসার এসআই জাহিদ হাসান ঠিকানা সনাক্ত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং সেখানে গিয়ে প্রথমে জাকিয়া ফেরদৌসীকে উদ্ধার করে এবং পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ডিউিটি অফিসার জাহিদ হাসান জানান, জাকিয়া ফেরদৌসী মানষিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত ছিলেন। পরিবার থেকে তার দুইবার বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুটি বিয়েই ডিভোর্স হয়ে গেছে। এসব কারণে মানষিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। বাবা জুলফিকার জামানের কাছে থাকেন তিনি। পরে তার পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে হতাশগ্রস্ত জাকিয়া ফেরদৌসীকে কাউন্সিলিং করা হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। অনাকাঙখিত ঘটনা প্রতিরোধে তার পরিবার ও স্থানীয়রা সতর্ক থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জাকিয়া ফেরদৌসী জানান, আমি মানষিকভাবে হতাশা থেকে উক্ত পোস্টটি করেছি। পরবর্তীতে এ রকম ভুল আর হবে না।
এসআইএইচ