সাড়া ফেলেছে গাইবান্ধার ফয়জারের পোড়া চা
গাইবান্ধায় সাড়া ফেলেছে ফয়জার রহমানের পোড়া চা। বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাটির কাপ পুড়িয়ে তাতে দুধ চিনি মিশিয়ে তৈরি হয় এই পোড়া চা। শুধু স্থানীয়রাই নয় দূর-দুরান্ত থেকে চা প্রেমিকরা ছুটে আসছেন এই চায়ের স্বাদ নিতে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভীড়। নিজস্ব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় সুফল পাচ্ছেন তিনি।
সরেজমিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মধ্য রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের ইটাপীর মাজার এলাকায় অবস্থিত চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়,দোকানের ভিতরে এক পাশে বিশেষ প্রক্রিয়ায় একটি থালার ওপর সারিবদ্ধ ভাবে মাটির তৈরি কাপগুলো আগুন দিয়ে পুড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে একটি চুলার ওপর একটি পাতিলে ২০ লিটার দুধ আর চিনি দিয়ে তৈরি করছেন চা। সেই তৈরি চা আগুনে পোড়া কাপে ঢেলে তৈরি করছেন পোড়া চা। দোকানের বাইরে বসানো টঙে চা প্রেকিদের কাছে দিচ্ছেন এই পোড়া চা। কেউ চা খাচ্ছেন আবার কেউ পোড়া চায়ের অপেক্ষা করছেন।
চা তৈরির মাঝে কথা হয় ফয়জার রহমানের সঙ্গে। জানা যায়, ৩৭ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় চায়ের হোটেল করেই সংসার চালান তিনি। দেড় বছর আগে নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তৈরি করেন বিশেষ পোড়া চা। প্রতিদিন ২ মন পর্যন্ত দুধের চা বিক্রি করলেও ছুটির দিনে চায়ের চাহিদা বেড়ে যায়, ফলে দুধও বেশি লাগে। প্রতিটি পোড়া চা ১০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করেন। চায়ের পাশাপাশি তিনি হোটেলে অন্য খাদ্য সামগ্রীও বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৭০০-৮০০ কাপ পোড়া চা বিক্রি করে মাসে ৩০ হাজারেরও বেশি টাকা আয় করেন ।
চা খেতে আসা খলিলুর রহমান বলেন, পোড়া চায়ের গল্প শুনে দেখতে ও খেতে ইচ্ছা করে। তাই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে পোড়া চা খেতে আসলাম। ভিন্ন নামের এই চা অন্য চায়ের চেয়ে অনেক সুস্বাদু। জীবনে প্রথম পোড়া চা খাচ্ছি।
শাহিন নামে এক যুবক বলেন, অনেক জনের কাছে পোড়া চায়ের খ্যাতি আর স্বাদের কথা শুনেছি। তাই পরিবারকে নিয়ে চা খেতে এসেছি। পড়ন্ত বিকালে পরিবারের সঙ্গে চায়ের আড্ডা খুবই ভালো লাগছে। তবে অন্য চা থেকে এটির স্বাদ আসলেই একটু ভিন্ন।
এসআইএইচ