ফজলে রাব্বীর আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া প্রভাবশালী ৩ নেতা
আগামী ১২ অক্টোবর প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বীর আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সে লক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ থেকে শুরু করে এলাকায় গণসংযোগসহ নিজেদের অবস্থান আরো দৃঢ় করতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে প্রার্থী-ভোটার সবার দৃষ্টি নৌকার মনোনয়নের দিকে। সে লক্ষ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া নৌকা প্রতীক প্রত্যাশীরা।
তারা হচ্ছেন- ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, মরহুম ফজলে রাব্বীর মেয়ে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহানা রাব্বী বুবলি ও ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম সেলিম পারভেজ। মূলত ফজলে রাব্বীর মৃত্যুর পর থেকেই দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের হাইকমান্ডে তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রভাবশালী এ তিন নেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গাইবান্ধা-৫ আসনের বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
মাহমুদ হাসান রিপন সমর্থকদের দাবি, মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন মাহমুদ হাসান। কারণ ফজলে রাব্বী বেঁচে থাকতে প্রতিটি নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়েও তিনি নিজে সক্রিয় থেকে দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে গেছেন। উপ-নির্বাচনে দল তাকে অবশ্যই মুল্যায়ন করবে।
অপরদিকে ফারজানা রাব্বী সমর্থকদের দাবি, ডেপুটি স্পিকার সারাজীবন মানুষের সেবা করে গেছেন। তিনি এলাকায় তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন বলেই বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বাবার অসুস্থতায় রাজনীতির হাল ধরেন তার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি। তিনি ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। মহান এ নেতার সম্মান-সহমর্মিতা মেয়ের দলীয় মনোনয়নে নি:সন্দেহে অগ্রাধিকার পাবে।
এ প্রসঙ্গে মাহমুদ হাসান বলেন, ছাত্রজীবন থেকে দলের প্রতি অনুগত থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রায় পাঁচ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার যুব সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডসহ এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। এসব মানুষের বড় একটি অংশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। দলীয় মনোনয়ন পেলে জয়ের পাশাপাশি দেশ ও মানুষের কল্যাণে অবদান করতে তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ী ।
অপরদিকে ফারজানা রাব্বী বলেন, আমার বাবা সারাজীবন সাঘাটা-ফুলছড়ির সবর্স্তরের মানুষের সঙ্গে ছিলেন। এলাকাবাসীর স্বত:স্ফুর্ত সমর্থনে তিনি সাতবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় প্রধান মরহুম বাবা ফজলে রাব্বী মিয়ার সম্মানে তাকে নৌকা প্রতীক দিবেন বলে তিনি শতভাগ আশাবাদী। মনোনয়ন দিলে জয়ী হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে চান।
দলীয় অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম সেলিম পারভেজ বলেন, তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগেও দুইবার দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। আশা করি দল এবার আমাকে ফেরাবে না।
প্রসঙ্গত, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া টানা ৯ মাস ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে গত ২২ জুলাই দিবাগত রাত ২টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ফলে ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এসআইএইচ