বিএনপি কার্যালয়ে কৃষি অফিসের সাইনবোর্ড লাগাল কারা?
রুহিয়া বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিসের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। তবে সাইনবোর্ড কে লাগিয়েছে তা কেউ জানাতে পারেনি। আর কৃষি বিভাগ বলছেন, বিএনপি কার্যালয়ে আমাদের সাইনবোর্ড লাগানোর কোন সুযোগ নেই। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রুহিয়া থানা বিএনপির কার্যালয়ে সাইনবোর্ডটি দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর থেকেই এনিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে দলীয় কার্যালয়ে এমন সাইবোর্ড দেখে ক্ষুদ্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনের দোকানদাররা জানান, মঙ্গলবার আমরা বিএনপি কার্যালয়ে এমন কোনো সাইনবোর্ড দেখতে পাইনি। সকালে দোকানে আসার পর সাইনবোর্ডটি দেখতে পেয়েছি। গভীর রাতেই এই সাইনবোর্ডটি কে বা কারা লাগিয়ে দিয়ে গেছে। এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর রুহিয়ায় আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় আওয়ামী লীগ। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরই মধ্যে আজ সকালে দেখি কার্যালয়ের ধ্বংস স্তুপের উপরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রুহিয়া শাখার একটি সাইনবোর্ড। আমরা দলীয়ভাবে বসেছি। প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো: আব্দুল আজিজ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সাইনবোর্ডের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। বিএনপি কার্যালয়ে আমাদের সাইনবোর্ড লাগানোর কোন সুযোগ নেই। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য ঘটনাস্থালে কৃষি কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, সাইনবোর্ড কারা লাগিয়েছে জানি না ৷ এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য: গত শনিবার (৩সেপ্টেম্বর) একই সময় পাল্টা পাল্টি কর্মসূচী ডাকায় ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় ৫টি মোটরসাইকেল ও দোকানপাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি থানায়।
এএজেড