পঞ্চগড়ে ৯টি রেল গেটের বিপরীতে মাত্র ১ জন গেটম্যান
পঞ্চগড়ের রেল ক্রসিং গুলো যেন একেকটি মৃত্যুর ফাঁদ। লোকবলের অভাবে ৯টি রেল গেটের বিপরীতে গেটম্যান আছেন একজন। তাও চলছে বদলি দায়িত্ব দিয়ে। নির্ধারিত রেল গেটে গেটম্যান না থাকায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে লাইন পারাপার হতে হয় পথচারীদের। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুতই রেল গেট গুলোতে গেটম্যান নিয়োগ করা হলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমার পাশাপাশি সহজ হবে রেলগাড়ি চলাচলে। এদিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, লোকবলের অভাবে ৯টি রেল গেটের বিপরীতে একটিতে রয়েছে গেটম্যান। চাহিদা দিয়েও অনুমোদন না মেলায় কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে নতুন নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কাঙ্খিত সুফল মিলবে না।
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। উত্তরের এই জনপদের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন হতে প্রতিদিন ঢাকার আন্তঃনগর ট্রেন ৩টি, রাজশাহীর ১টি, সান্তাহার ও পার্বতীপুরগামী ১টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যমতে, পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন হতে আটোয়ারী উপজেলার কিসমত স্টেশন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রেললাইনে ৯টি রেল গেট রয়েছে। এর মধ্যে কিসমত রেল গেটে একজন দায়িত্ব পালন করেন। তবে তিনি নারী হওয়ায় অন্য একজনকে মাসিক ৫ হাজার টাকা সম্মানিতে তার বদলি হিসেবে রাখা হয়েছে। বাকী রেল গেট গুলোতে পথচারীদের নিজেই পারাপার হতে হয়। রেললাইনের আশপাশে বাড়িসহ নানা স্থাপনা থাকার কারণে অনেক সময় ট্রেন এলেও টের পান না পথচারীরা। ফলে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পারাপার হতে হয় তাদের। এতে যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ দ্রুতই গেট গুলোতে গেটম্যান নিয়োগ করা না গেলে যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
তবে রেলওয়ে বিভাগ বলছে, অর্থ সংকট আর নানা সমস্যার কারণে গেটগুলোতে কোন দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তি নেই। নতুন নিয়োগ পেলে দ্রুতই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে বলে জানান বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ্ সুফী নুর মোহাম্মদ।
এসআইএইচ