আদিতমারীতে ওএমএসের দোকানে উপচে পড়া ভিড়
খোলা বাজারে ওএমএস কর্মসূচির ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির দোকানগুলোতে সকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এই চাল কিনতে দীর্ঘ লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন নিম্নআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরা।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার রেল স্টেশনে ওএমএস ডিলার দুলাল পাঠান ও বুড়িরবাজারে ডিলার ফরহাদ আলম সুমনের দেকান ঘুরে দেখা গেছে, ৩০ টাকা কেজি দরের চাল কিনতে সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ। মাত্র এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে শেষ হচ্ছে বরাদ্দকৃত ২ মেট্রিক টন চাল। আবার অনেকেই এসব চাল কিনতে না পেয়ে ফিরছেন খালি হাতে। তবে ভুক্তভোগীরা প্রতিদিনের বরাদ্দের চাহিদা বাড়ানোর জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ সময় আদিতমারী রেলস্টেশনে কথা হয় অটোচালক শিহাব উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, সকাল থেকে ৫ কেজি চাল কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চাল পাওয়ায় তিনি শুকরিয়া আদায় করেন। একই অভিমত ব্যক্ত করেন চাল কিনতে আসা সাবেক ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন।
গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) লামনিরহাটের আদিতমারী খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মসূচির আওতায় ৩০ টাকা দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রির উদ্বোধন করা হয়। খোলা বাজারে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জি,আর সারোয়ার।
এদিকে উপজেলা পর্যায়ে দুইজন ডিলারের মাধ্যমে সাপ্তাহিক ছুটির ২ দিন বাদ দিয়ে প্রতিদিন ২-৪ মেট্রিক টন চাল ৩০ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আদিতমারীতে ওএমএস কর্মসূচির আওয়াতায় দুলাল পাঠান নামের একজন ডিলারকে গত রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিয়োগ দেয় খাদ্য বিভাগ।
খোলা বাজারে চাল বিক্রি প্রসঙ্গে আদিতমারী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসনা আকতার বলেন, ‘সপ্তাহে ৫ দিন সুলভ মূল্যে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা করে বিক্রি করা হবে। উপজেলা পর্যায়ে দুইজন ডিলার প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন করে মোট ৪ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি ডিলার প্রতিদিন জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল বিক্রি করবেন। প্রতিদিন ১ জন ডিলার ৪০০ পরিবারের মাঝে এই চাল বিক্রি করবেন।’
এ ব্যাপারে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জি,আর সারোয়ার বলেন, সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে নিম্নআয়ের লোকজনের মাঝে এ চাল বিক্রয় করা হবে। সরকারের এ কর্মসূচি সফল করতে কোনও ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
এসআইএইচ