তিস্তার পানি আবারও বিপৎসীমার উপরে
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের লোকজন। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
এদিন দুপুর ১২টায় পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ও বিকাল ৩টা ও ৬টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০)। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
হঠাৎ করে আবারও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের লোকজন। সোমবার থেকে পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকার অনেকে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ৫-৭টি চর প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
টেপা খড়িবাড়ীর আব্দুর রহমান জানান, পানির শোঁ শোঁ শব্দে এলাকার মানুষজনের মধ্যে আবারও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে দুই দফা এই এলাকায় পানি প্লাবিত হয়ে পরিবারগুলোর অনেক ক্ষতি হয়েছিল।
টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী বেষ্টিত এলাকাগুলোতে আবারও পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। নিচু জায়গায় যারা বসবাস করেন তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ দৌলা জানান, উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হতে থাকে।
বিকাল ও সন্ধ্যায় পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এসজি