পঞ্চগড়ে পাথর-বালি ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
পঞ্চগড়ে তিনদিন পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন পাথর ও বালি ব্যবসায়ীরা। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি মেনে নিয়েছেন তারা। এর ফলে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকেই কাজে ফিরেছেন পাথর ও বালি লোড-আনলোড (উঠা-নামা) শ্রমিকরা।
সোমবার (৩০ আগস্ট) রাতে পঞ্চগড় জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের আহ্বানে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা বৈঠকে পঞ্চগড় জেলা পাথর-বালি ব্যবসায়ী ফেডারেশনের নেতারা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
বৈঠকে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঈয়াছিন আলী মন্ডল, পাথর-বালি ব্যাবসায়ী যৌথ ফেডারেশনের সভাপতি হাসিবুল হক প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, জেলা ট্রাক-ট্রাক্টর, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জসিদুল ইসলাম জসিমসহ সংশ্লিষ্ট নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তৃতীয় দিনেও চলছে পাথর-বালি ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট
বৈঠকে প্রতি ঘনফুট (সিএফটি) পাথর-বালি লোড-আনলোড বাবদ শ্রমিকদের আগের মজুরি ২ টাকা ৮০ পয়সার বিপরীতে ৩ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এই সিদ্ধান্ত শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের সব সংগঠন মেনে নেওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে পাথর-বালি কেনাবেচা ও লোড-আনলোড শুরু হয়।
সোমবার সকালে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাথর-বালি ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জেলা প্রশাসক জহরুল ইসলাম জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর-বালু কেনাবেচা বন্ধ
জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছিল। বৈঠকে ২ টাকা ৮০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতারা সম্মত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ট্রাকে পাথর-বালি লোড-আনলোড শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত ছাড়াই মজুরি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত শনিবার থেকে পাথর-বালি ব্যবসায়ী যৌথ ফেডারেশনের নেতারা পাথর কেনাবেচা বন্ধ করে দেন।
এসজি