ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্নসাতের অভিযোগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর বিরুদ্ধে কাজ না করে সরকারী চাল আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের দক্ষিন ধুবনী গ্রামে একটি সড়ক সংস্কারের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে ৩ মেঃ টন চাল আত্নসাত করেন আনোয়ার হোসেন মিরু ও প্রকল্প চেয়ারম্যান সিঙ্গিমারী ইউ,পি সদস্য ছাবেদ আলী। এ অনিয়মে তাকে সহযোগিতা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার( কাবিখা) খাদ্যশস্য প্রকল্পের আওতায় হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৩ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। উপজেলা পরিষদ ভিত্তিক ২য় পর্যায়ের এ প্রকল্প গুলোর একটি সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের দক্ষিন ধুবনী গ্রামে। ওই এলাকার সোহরাব মাষ্টারের বাড়ি হতে দক্ষিন দিকে নুরুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে ৩ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে বিল ভাউচার জমা দিয়ে ওই চাল উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্ত স্থানীয়দের অভিযোগ গত ১ বছরেও ওই রাস্তাটির সংস্কার করা হয়নি।
শুধু তাই নয় সোহরাব মাষ্টারের বাড়ি হতে নুরুর বাড়ির দুরুত্ব ২ শত ফিটের বেশি নয়। কিন্তু সামান্য রাস্তাটুকুর মাটির কাজের সংস্কারের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ মেঃটন চাল। যার সরকারী মুল্য ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা। রাস্তা সংস্কার না করলেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু।
ওই এলাকার হয়রত আলী ও নুরল হক জানান, সোহরাব মাষ্টারের বাড়ি হতে নুরুর বাড়ির দুরুত্ব ১ শ ৫০ হাতের বেশি নয়। গত ১ বছরে ওই সড়কের কোনো সংস্কার হয়নি ফলে তাদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এ প্রকল্পের প্রকল্প চেয়ারম্যান ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ছাবেদ আলী। কিন্তু তিনি বললেন ভিন্ন কথা। তার দাবী কাগজে কলমে তিনি প্রকল্প চেয়ারম্যান হলেও বাস্তবে প্রকল্পটি হলো হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর।
তিনি জানান, সড়কের কোনো সংস্কার হয়নি। এ নিয়ে তার সাথে ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর ঝগড়া হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। তবে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবী করেন কিছু দিন আগেও ওই সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। এখন নতুন করে আবারও সংস্কার করা হচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহ জানান, বিল উত্তোলন করা হলেও তিনি সড়ক সেভাবে সংস্কার করেন নাই। তাকে চাপ দেয়ার পর অনেক দেরীতে হলেও ইতোমধ্যে ওই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন।
এএজেড