৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা গেলেন অগ্নিদগ্ধ সেই গৃহবধূ
অগ্নিদগ্ধ নিহত ফজিলাতুন নেছা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
যৌতুকের জন্য স্বামীর দেওয়া কেরোসিনের আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ফজিলাতুন নেছা (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট ফজিলাতুন নেছার উপর কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে তার স্বামী গোলাম রাব্বানী। নিহত ফজিলাতুন নেছা সদর উপজেলার কোমইগাড়ী সাকিদার এলাকার ফজলুর হোসেনের মেয়ে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় নিহতের খালা সুমি মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘টানা কয়েকদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গতকাল সন্ধ্যায় মেয়েটি মারা যায়। হাসপাতালের আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে নওগাঁর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিব। যারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত শাস্তি চাই।’
এ ঘটনায় গত বুধবার ফজিলাতুন নেছার বাবা ফজলুর হোসেন বাদী হয়ে স্বামী গোলাম রাব্বানীসহ তার পরিবারের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী গোলাম রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার তদন্ত (ওসি) আব্দুল গফুর ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘গৃহবধূ ফজিলাতুন নেছার মৃত্যুর সংবাদটি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আসামি স্বামী গোলাম রাব্বানীকে সেদিনই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।’