মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আ. লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে বড় বৈষম্যের স্বীকার বগুড়া

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ গ্রাফিক্স

বগুড়া, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উন্নত শহর। উত্তরের প্রবেশ মুখ খ্যাত ২,৯২০ বর্গকিলোমিটারের বগুড়া জেলায় রয়েছে খেরুয়া মসজিদ, রাণী ভবানীর বাপের বাড়ি, ভীমের জাঙ্গাল, পরশুরামের প্রাসাদ, মহাস্থানগড় সহ আরো বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। যেগুলো বাংলার ইতিহাসকে ধারণ করে রেখেছে শত শত বছর ধরে। রয়েছে উত্তরবঙ্গের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম।

বগুড়ায় জন্ম নিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা প্রফুল্ল চাকী, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মোহাম্মদ খাদেমুল বাশার সহ অনেকে।

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে সারাদেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন দেখিয়েছেন হাসিনা সরকার। তবে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটও হয়েছে, সেটাও দৃশ্যমান।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করতে নির্মাণ হয়েছে পদ্মাসেতু, রাজধানী বাসির দৈনন্দিন জীবনে স্বস্তি ফেরাতে মেট্রোরেল কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, এক্সপ্রেস হাইওয়ে, দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বিনোদন কেন্দ্রসহ অনেক কিছুই। সেসব মানতেই হবে।

হাসিনা সরকারের এতসব উন্নয়নের মাঝেও ছিল নজিরবিহীন বৈষম্য। যার বড় উদহারণ উত্তরবঙ্গের প্রবেশমুখ বগুড়া জেলা। বিগত ১৫ বছর বগুড়াবাসী ছিল সবচেয়ে বৈষম্যের স্বীকার।

শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, বগুড়া 

উত্তরবঙ্গের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ছিল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম। আন্তর্জাতিক মানের ৫ তারকা ও চার তারকা হোটেল থাকার পরেও রাজনৈতিক কারণে এখানে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

উত্তর বঙ্গের রাজধানী খ্যাত বগুড়াকে বিভাগ কথা করার কথা থাকলেও সেটাও করা হয়নি। ৭২ বর্গ কিলোমিটারের সুবিশাল পৌরসভা বগুড়া। কথা ছিল সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করার। সেটাও হয়নি।

দেড়শ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী এই জেলায় স্থাপন করা হয়নি কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে রয়েছে জিলা স্কুল, ভিএম, ক্যান্ট এর মতো বোর্ড সেরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এতো এতো ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান আর বিখ্যাত সব আঞ্চলিক খাবার রয়েছে এই জেলায়। সঠিক উদ্যোগ নিলে হয়ত দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি পেত বগুড়া।

মহাস্থানগড়, বগুড়া।

উত্তরবঙ্গের ব্যাবসায়িক হাব বলা হয় এই জেলাকে। অথচ উত্তরবঙ্গের মানুষদের দীর্ঘ যাত্রায় সবচেয়ে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় বগুড়ার যানজটে। বিশেষ করে দুই ঈদে।

বগুড়ায় যেমন রয়েছে এতসব ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান, তেমনি উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ কর্পোরেট অফিসের হেড কোয়ার্টারও রয়েছে এই জেলাতেই কিন্তু তারপরেও নেই কোনো এয়ারপোর্ট!

শুধু তাই নয় বৈষম্য রয়েছে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও। অনেকের এমনও অভিযোগ রয়েছে, বিসিএস এর ভাইভায় অনেকবার গিয়েও বাদ পড়তে হয়েছে, জন্মস্থান শুধুমাত্র বগুড়ায় হওয়ার কারণে।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, এসব বৈষম্যের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ যে রাজনৈতিক সেটা স্পষ্ট। তাদের মতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়ায় হওয়ার কারণে এত বছর এই বৈষম্যের স্বীকার হতে হয়েছে বগুড়াবাসিকে।

১৫ বছরের সৈরাশ্বাসকে অতিষ্ঠ হয়ে গত ৫ আগস্ট ঢাকার রাস্তায় নামে ছাত্র-জনতার ঢল। ছাত্র-জনতার দেশকাঁপানো অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদ পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী ভারতের কাছে। আপাতত সেখানেই রয়েছেন শেখ হাসিনা।

Header Ad

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় ঢাকাস্থ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন। এছাড়া ওই দিন সকাল ১০টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠের কর্মসূচি রয়েছে। পাশাপাশি দিবসটি উদযাপনে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পোস্টার লাগানো এবং লিফলেট বিতরণ করা হবে।

পরদিন, ৮ নভেম্বর রাজধানীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত র‍্যালিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবেন।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে কর্মসূচিকে সফল ও সার্থক করার আহ্বান জানিয়েছেন।

Header Ad

শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে শেখ হাসিনার আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। গত রবিবার (৩ নভেম্বর) গাড়োয়া বিধানসভা আসনের রাঙ্কায় এক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

হেমন্ত সোরেন প্রশ্ন করেন, “বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলো কেন? তাকে কি ভারত কোনোভাবে আশ্রয় দিয়েছে? আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির কোনো বিশেষ চুক্তি বা অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া রয়েছে কি না।”

এর আগে, বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক নির্বাচনী সমাবেশে ঝাড়খণ্ডের সরকারকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায় ক্রমশ বিলুপ্তির পথে।” অমিত শাহ আরও জানান, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের থেকে জমি কেড়ে নিয়ে তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে কঠোর আইন আনা হবে।

অমিত শাহের মন্তব্যের জবাবে হেমন্ত সোরেন বলেন, “কেন ঝাড়খণ্ডের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে? আমাদের রাজ্যের মানুষ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণের ভোগান্তিতে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত পাহারা দেয়া ও অনুপ্রবেশ রোধ করা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

Header Ad

মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে অন্ধকারে রেখে কিছু করলে মেনে নেয়া হবে না। আগেও মানুষ ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না। এ সরকারকে বলতে চাই, আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আপনাদের ওপর বিশ্বাস হারায়।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সাবুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছি না, জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকে সংবাদপত্রে এসেছে-কেউ বলছেন নির্বাচনের আগেই সংস্কার করা হবে। আবার আরেকজন বললেন যে, সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে। এই সংস্কার করতে আপনাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) কয়দিন লাগবে। আমরা তো সংস্কারের কোনো লাইন দেখতে পাচ্ছি না।

সরকারের উদ্দেশে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কোনো রকম ছলচাতুরি করার প্রয়োজন নেই। আপনারা কবে নির্বাচন দিতে চান, তা জাতিকে জানান। সংবিধান পুনঃলিখন করতে হলে আমাদের সাথে কথা বলে করতে হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ